বাংলাদেশের সঙ্গে আসাম সীমান্তে স্মার্ট বেড়া নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করছেন রাজনাথ সিং

বাংলাদেশের সঙ্গে আসাম সীমান্তে স্মার্ট বেড়া নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করছেন রাজনাথ সিং

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের পর এবার বাংলাদেশ সীমান্তে ‘স্মার্ট ফেন্সিং’ বা স্মার্ট সীমান্ত বেড়া নির্মাণ করছে ভারত। আজ মঙ্গলবার আসামের ধুবরি জেলায় ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে এই বেড়া নির্মাণ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বর্মণপাড়া প্রধান কার্যালয়ে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে জম্মুতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৫ কিলোমিটারে এমন বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। ভারত মনে করছে, এর মধ্য দিয়ে আন্তঃসীমান্ত অপরাধ ও অন্যান্য তৎপরতা কমে আসবে। স্মার্ট ফেন্সিংয়ের এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে বর্ডার ইলেক্ট্রনিক্যালি ডোমিনেটেড কুইক রেসপন্স টিম ইন্টারসেপশন টেকনিক। সংক্ষেপে একে বলা হচ্ছে বোল্ড-কিট (BOLD-QIT)।

‘আফটার ইন্দো-পাক বর্ডার, নাউ ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডার গেটস স্মার্ট ফেন্সিং’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ কথা লিখেছে ভারতের অনলাইন ইন্ডিয়া টুডে।

এতে বলা হয়েছে, আসামের ধুবরি জেলা বরাবর বাংলাদেশ ও ভারতের ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে এই বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। এর অধীনে পানির নিচ দিয়ে ও মাটির নিচ দিয়ে বসানো হচ্ছে ‘ছোনার সেন্সর’ বা শব্দ বিষয়ক সেন্সর। এতে আন্তঃসীমান্তে অবৈধ তৎপরতা ধরা পড়বে।

এ জন্য ধুবরি জেলার নদীবিধৌত সীমান্তে বসানো হচ্ছে বিস্তৃত রেঞ্জের ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট। কমপ্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অধীনে এসব কাজ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে সার্বক্ষণিক নদীবহুল সীমান্তে নজরদারি সম্ভব হবে বলে মনে করছে ভারত।

বিএসএফের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত হবে। আর তাতে ভূমি, পানি, পানির নিচে, আকাশপথকে যেকোনো রকম অপতৎপরতা থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হবে তাদের বাহিনী।

আসামের ধুবরি জেলা বাংলাদেশের সঙ্গে প্রধানত ব্রহ্মপুত্র নদ শেয়ার করে। এ ছাড়া আছে গদাধর নদী। এসব নদ বা নদী দুই দেশের সীমান্তে বিস্তৃত।

আসামে বাংলাভাষীদের কেন্দ্র করে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর ইস্যুটি জোরালো হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক সময়ে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশী অনেক অবৈধ অভিবাসী আছেন সেখানে। তাদেরকে বের করে দেয়ার জন্য করা হয়েছে নাগরিকপঞ্জি।

এমজে/