ধর্ষণ করেছেন আ.লীগ নেতা, সংবাদ সম্মেলনে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী

ধর্ষণ করেছেন আ.লীগ নেতা, সংবাদ সম্মেলনে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণী।

বৃহস্পতিবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ওই তরুণী।

রামপালের উজলকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য সাহেব আলী আকুঞ্জীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এই তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী নিজেকে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, গত বছর বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে মিঠু গাজী নামে একজনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। সেখানে বনিবনা না হওয়ায় আমি বাবার বাড়ি ফিরে যাই। এরই মধ্যে ঝালবাড়ি গ্রামের সাহেব আলী আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। আমি সরল বিশ্বাসে তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে মিঠুকে তালাক দেই। সাহেব আলী আমাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে বেশ কিছু সোনার-গয়না দেন। এরপর তিনি বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।’

ওই তরুণীর ভাষ্যমতে, ‘এখন সাহেব আলী আমাকে বিয়ে না করে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। প্রাণ ভয়ে আমরা সপরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’

এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ ওই তরুণীর বাবা বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ সময় সেখানে ওই তরুণীর বাবা ও মা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলী আকুঞ্জীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রউফ বলেন, ‘অভিযোগটি প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র কি না, তা তদন্ত করে দেখতে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় দল তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’

জানতে চাইলে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে ওই মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমজে/