ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন

কাস্ট হওয়া ভোটের চেয়ে ফলাফলে ‘বেশি ভোট’

কাস্ট হওয়া ভোটের চেয়ে ফলাফলে ‘বেশি ভোট’

ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০২০ বর্ষের কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের নির্বাচনে মোট কাস্ট হওয়া ভোটের চেয়ে ফলাফলে ৩৪টি ভোট বেশি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নির্বাচনে পরাজিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকার জজ কোর্টে কোর্ট রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।

পরাজিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, ভোটে কারচুপি করার কারণেই কাস্ট হওয়া ভোটের চেয়ে ফলাফলে ৩৪টি ভোট বেশি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসেন আলী খান হাসান বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিনের নির্বাচনে ৪ হাজার ৬৪২ এবং দ্বিতীয় দিন গত ৭ মার্চ ৪ হাজার ৭২২ ভোট কাস্ট হওয়ার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। সে হিসেবে দুইদিনে ৯ হাজার ৩৬৪ ভোট কাস্ট হয়। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় সভাপতি পদে দুই প্রার্থী মিলে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৮১ ভোট। অর্থাৎ কাস্ট ভোটের চেয়ে ১৭ ভোট বেশি। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ফলাফলে দুই প্রার্থী মিলে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৯৮ ভোট। অর্থাৎ কাস্ট ভোটের চেয়ে ৩৪ ভোট বেশি। এভাবে সিনিয়র সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদেও কাস্ট ভোটের চেয়ে ফলাফলে বেশি ভোট পাওয়া গেছে।

হোসেন আলী খান হাসান আরো বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে কাস্ট ভোটের মধ্যে গণনার সময় ১১০ ভোট নষ্ট হয়েছে বলা হচ্ছে। যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে কাস্ট ভোটের চেয়ে দেড়শতাধিক ভোট বেশি পড়েছে। নির্বাচনে কারচুপি করেই তাকে ৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়। তাই তারা ওই ফলাফল বাতিল করে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানান।

এ সময় নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমদ তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী ও মোসলেহ উদ্দিন জসিমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপিপন্থী প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমিতির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, প্রথম দিন ভোটের পর কাস্ট ভোটের ঘোষণা দেওয়া হলেও দ্বিতীয় দিন কাস্ট ভোটের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। আর নির্বাচনে দুই দলেরই ১০ জন করে কমিশনার ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই সব কিছু হয়েছে। এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮টি পদেই জয়ী হয়।

অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল তিনটি সম্পাদকীয় পদসহ নয়টি পদে জয়লাভ করেছেন। নির্বাচনে মোট ১৭ হাজার ৮৯৭ জন আইনজীবী ভোটার ছিলেন। গত শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে ভোট গণনার পর শনিবার সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এমআই