ডাকসুর পুনঃতফসিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন চলছে

ডাকসুর পুনঃতফসিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন চলছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সাত শিক্ষার্থী। এদিকে অনশনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনশনকারীদের মধ্যে পাঁচজন কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন হল সংসদে নির্বাচন করেছেন। শিক্ষার্থীরা পুনঃনির্বাচনের পাশাপাশি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন।

অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মীম আরাফাত মানব, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের তাওহীদ তানজীম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শোয়েব মাহমুদ, পপুলেশন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের মো. মাঈনউদ্দিন, দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের অনিন্দ্য মণ্ডল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রাফিয়া তামান্না এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আল মাহমুদ তাহা।

এর মধ্যে মীম আরাফাত মানব ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য সমর্থিত প্যানেলে আন্তর্জাতিক সম্পাদক, তাওহীদ তানজীম স্বতন্ত্রভাবে ডাকসুতে ছাত্র পরিবহন সম্পাদক, শোয়েব মাহমুদ শহীদুল্লাহ হল সংসদে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য মনোনীত সাহিত্য সম্পাদক, অনিন্দ্য মণ্ডল জগন্নাথ হলে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য সমর্থিত সদস্য এবং মো. মাঈনউদ্দিন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল সংসদে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য ও স্বতন্ত্র জোট সমর্থিত সংস্কৃতি সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনশনে বসা অনিন্দ্য মণ্ডল বুধবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অনিন্দ্যের সহপাঠী তাহিদ জামিল জানান, ‘তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে অনিন্দ্যকে জগন্নাথ হলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।’

অনশনকারী মীম আরাফাত মানব বলেন, ‘মরে যেতে তো দেবে না বলে মনে হয়। তার আগেই হাসপাতালে নিয়ে যাবে। যা হবার হোক, নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।’

এদিকে, অনশনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের হাতে নানা লেখাযুক্ত পোস্টার দেখা গেছে।

এমজে/