ইনু-মেননরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিল: বাবুনগরী

ইনু-মেননরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিল: বাবুনগরী

নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা গোটা বিশ্বের মুসলিম জনতার ওপর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নতুন চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মোহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেছেন, জুমার নামাজে মুসল্লিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে প্রমাণ দিয়েছে উগ্র খ্রিষ্টান সন্ত্রাসীরা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত। মুসলমানদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

হেফাজতে ইসলামের কক্সবাজার জেলা আয়োজিত দুই দিনব্যাপী শানে রেসালত সম্মেলনের সমাপনী দিন শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হামলায় বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা নিরাপদে থাকায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বাবুনগরী বলেন, সন্ত্রাস নির্মূল করে শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্ম হলো ইসলাম। বিশ্ব মানবতার কল্যাণ, শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ধর্ম হলো ইসলাম। নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলাকারী খুনি খ্রিষ্টান সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন, রাশেদ খান মেনন একজন ইসলামবিদ্বেষী। তাকে জাতীয় সংসদ সদস্য পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। নাস্তিক্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের আজীবন লড়াই চলবে। ইনু-মেননরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিল। মুক্তিযুদ্ধে তাদের কোনো অবদান নেই।

কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত শানে রেসালত সম্মেলনে ড. আফম খালিদ হোসেন বলেন, ইনু-মেননদের মুক্তিযুদ্ধে কোনো ধরনের ভূমিকা ছিল না। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। অথচ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মায়াকান্না করছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা ইসলামী চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। ইসলামবিরোধীরা বিভ্রান্তিকর কথা বলে দেশে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ইহুদি-খ্রিষ্টানদের দালালি করছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানী-দার্শনিকরা বিশ্বনবীকে জানতে পেরে ইসলামগ্রহণ করেছেন। আর আমাদের দেশের কিছু অর্বাচীনরা মহানবীকে (সা.) চিনতে পারল না। মহানবীর (সা.) শানে মুসলমানরা জানমাল সব বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। যারা মহানবীর (সা.) শানে বেয়াদবি করবে তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস করতে হবে।

সম্মেলনে মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, কাদিয়ানিরা বিশ্বনবীকে (সা.) শেষনবী মানে না। তাই তারা মুসলিম হতে পারে না। তারা কাফের। কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। সন্ত্রাস দমনের জন্য আল্লাহ জিহাদ ফরজ করেছেন। জিহাদ আছে এবং থাকবে। জিহাদের সঙ্গে তথাকথিত জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই জিহাদ ফরজ।

সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- মাওলানা মুজিবুর রহমান যুক্তিবাদী, মাওলানা নুরুল ইসলাম সাদেক, মাওলানা আব্দুস সালাম পাটোয়ারী, মাওলানা মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কাসেমী, মাওলানা ছৈয়দ আলম আরমানী, মাওলানা মোস্তফা নুরী, মাওলানা জাসিম উদ্দিন মিসবাহ ও মাওলানা সরওয়ার আলম কুতুবি প্রমুখ।

দুইদিনের সম্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন- জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা আবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিব, প্রবীণ আলেম মাসরুর আহমদ, মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক, মাওলানা মোস্তাক আহমদ ও মাওলানা এহতেশামুল হক মাদানি।

এমআই