এই রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য: মানবাধিকার রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে মোমেন

এই রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য: মানবাধিকার রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে মোমেন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। সোমবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখানের ঘোষণা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

গত ১৩ মার্চ বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে বিশ্বের ২০০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করা হয়, এরমধ্যে বাংলাদেশ বিষয়ক স্বতন্ত্র অধ্যায়ও ছিল। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে পক্ষপাতমূলক হিসেবে অভিহিত করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এই প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন,‘এখানে রিপোর্টে (প্রতিবেদনে) যা বলা হয়েছে তা বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশি প্রযোজ্য।’ তিনি বলেন, ‘রিপোর্টটি পড়ে মনে হয়েছে বিষয়গুলো সম্পর্কে যথাযথ অনুধাবন (ইনভেস্টিগেশন) না করেই এটি তৈরি করা হয়েছে।’

মন্ত্রী প্রতিবেদনটির বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে বলেন, আমরা তথ্য নির্ভর বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টকে স্বাগত জানাই। কিন্তু, এ প্রতিবেদনটিতে সে রকম কিছু নেই। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এই রিপোর্টের প্রতিবাদ পাঠিয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উপস্থাপন করা প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘হয়রানি, ভয়ভীতি, নির্বিচার গ্রেফতার এবং সহিংসতার কারণে বিরোধী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণা চালানো বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে।’

এছাড়াও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বেসামরিক প্রশাসন নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর ওপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছে। কিন্তু একইসঙ্গে তাদের দেওয়া হয়েছে ব্যাপক মাত্রার দায়মুক্তি।

প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার ও তাদের দ্বারা সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের তদন্ত ও দায়িদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার খুব কম পদক্ষেপই গ্রহণ করেছে।’