টেকনাফে ১৩ রোহিঙ্গার পেটে মিলল ৪৩ হাজার ইয়াবা

টেকনাফে ১৩ রোহিঙ্গার পেটে মিলল ৪৩ হাজার ইয়াবা

কক্সবাজারের টেকনাফে ৫০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এর মধ্যে ১৩ রোহিঙ্গা নাগরিকের পেটের ভেতর থেকে ৪৩ হাজার ও তিনজন বাংলাদেশিসহ দুজন রোহিঙ্গার কাছ থেকে আরও ৭ হাজার ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্যটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোমেন মণ্ডল। এক্সের মাধ্যমে পেটের ভেতর থাকা এসব ইয়াবা চিহ্নিত করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, আনিস উল্লাহ (২৬), আমান উল্লাহ (৩৩), আনোয়ার সাদেক (১৬), মো. সালাম (৪০), জাফর আলম (২৮), দোস্ত মোহাম্মদ (১৯), মোহম্মদ ইমরান (২৫), হোসেন আহমদ (১৯), দিলদার মিয়া (২৪), রজিম উল্লাহ (১৯), আমান উল্লাহ (১৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (২৫), ইমাম হোসেন (২০)। এঁদের সকলের বাড়ি মিয়ানমারে মংডু শহরের বুড়া সিকদারপাড়া ও খেয়ারি প্রাং গ্রামের বাসিন্দা।

তিন বাংলাদেশি হলেন, উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ার মো. শরীফ ওরফে আমির হোসেন (৩৫), রঙ্গিখালীর লামারপাড়ার সব্বির আহমদ (২৫) ও নাট মোরাপাড়ার কামাল হোসেন (১৯)। অপর দুই রোহিঙ্গা হলেন মিয়ানমারের মংডুর বাসিন্দা জাফর আলম (৩৫) ও খায়ের হোসেন (৫০)।

সোমেন মণ্ডল বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হ্নীলার চৌধুরীপাড়া এলাকায় মোহাম্মদ শরীফ ওরফে আমির হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৫ রোহিঙ্গা নাগরিকসহ তিন বাংলাদেশি আটক করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের পেটের ভেতর ইয়াবা রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় মামলা রুজু করে আসামিদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

আটক রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে সোমেন মণ্ডল আরও জানান, ওই দিন রাতে তারা (১৫ রোহিঙ্গা) মিয়ানমার থেকে এসব ইয়াবা নিয়ে নাফ নদী হয়ে একটি নৌকায় করে আমির হোসেনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

এমজে/