মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের চাঁদা দাবি

মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের চাঁদা দাবি

বগুড়া, ২১ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : স্বামী-সন্তানসহ এক নারীকে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর হাড্ডিপট্টি এলাকার মরিয়ম বেগম ফাইমা নামে ওই নারী এ অভিযোগ করেন। তিনি ওই এলাকার মো. বাবুর স্ত্রী।

ফাইমার অভিযোগ, তিনি প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেও থানা ও ডিবি পুলিশের অসাধু কর্মকর্তারা স্বামী-সন্তানসহ তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছেন। নানাভাবে তাদের হয়রানিও করা হচ্ছে।

রবিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে ফাইমা আরো বলেন, তার মতো অনেক নারী ও পুরুষ মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইলেও কিছু পুলিশের জন্য তা পারছেন না। তিনি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এ ব্যবসার কারণে তিনি বিভিন্ন সময় জেল-জরিমানাসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হন। বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে সুষ্ঠুভাবে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এরপরও বগুড়া সদর থানা ও ডিবি পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা স্বামী ও সন্তানসহ তাকে হয়রানি এবং মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে।

বর্তমানে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের ভয়ে চরম আতংকে রয়েছেন বলে জানান ফাইমা। অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের নাম প্রকাশ করলে তার বড় ক্ষতি হবে।

ফাইমার দাবি, তার মতো অনেক মাদক ব্যবসায়ী স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। কিন্তু কিছু পুলিশের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। যখন মাদক ব্যবসা নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হয়, তখন পুলিশ কৃতিত্ব দেখাতে সাবেক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে থাকে। এমনকি তারা বাড়িতে মাদক রেখে বা পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে অনেক ভদ্র মানুষকেও গ্রেফতার বা টাকা আদায় করে থাকে।

ফাইমা বলেন, কয়েক দিন আগে ডিবি পুলিশ তার স্বামীর কাছে কিছু না পেলেও পকেটে ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। ফাইমা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সুস্থ জীবন ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন।

তবে সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন ও নারীর এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওসি জানান, ফাইমা ও তার স্বামী কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তার স্বামী এখনও জেলে। পুলিশের কঠোর ভূমিকার কারণে তারা মাদক ব্যবসা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই ফাইমা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১৮২৯ঘ.)