বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে আজ বিকাল ৩টার মধ্যে ‘কিছু টাকা’ দিতে গ্রিনলাইন পরিবহনের মালিককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকার কিছু অংশ বিকাল ৩টার মধ্যে না দিলে আমরা আমাদের (আদালত) মতো ব্যবস্থা নেব।
বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
শুনানির শুরুতে রিটকারী উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, রাসেলকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি।
এ সময় গ্রিনলাইনের আইনজীবী মো. অজিউল্লাহ ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধের জন্য আবারও সময় চান।
এ সময় আদালত বলেন, আপনারা আগে বিকাল ৩টার মধ্যে যে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিয়েছি, সেটির কিছু অংশ পরিশোধ করে আসুন। এর পর আদালত বিষয়টি শুনানির সময় বিকাল ৩টা নির্ধারণ করেন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী দোলাইরপাড় প্রান্তে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় পা হারান এপিআর এনার্জি লিমিটেডের চালক রাসেল।
বাসচালক কবির বেপরোয়া গতিতে পেছন দিক থেকে মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। বাসের সামনে গিয়ে কবিরের কাছে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চান রাসেল।
এর জের ধরে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কবির ইচ্ছা করেই রাসেলের শরীরের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন। দ্রুত সরার চেষ্টা করলেও এক পা বাঁচাতে পারেননি রাসেল।
ঘটনাস্থল থেকে রাসেলকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় গ্রিনলাইন বাসের চালক কবির মিয়াকে একমাত্র আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন রাসেলের ভাই আরিফ সরকার।
পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী এলাকার বাসিন্দা রাসেল রাজধানীর আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিংয়ে বসবাস করতেন এবং স্থানীয় একটি ‘রেন্ট-এ-কার’ প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালাতেন।
এমজে/
