থানায় প্রকৌশলীর অভিযোগ

ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ

ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মণানাধীন ড. ওয়াজেদ রিসার্স ইন্সটিটিউটের ভবনের ঠিকাদারী কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রলীগ সভাপতি আবু মোন্নাফ আল কিবরিয়া ওরফে তুষার কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) হয়েছে। শনিবার রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় এই জিডি করেন নির্মাণাধীন ভবনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসাইন।

তাজহাট থানা সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন ভবনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসাইন সাধারণ ডায়েরীতে অভিযোগ করেছেন যে, গত ১২ এপ্রিল বিকেল ৩টায় আমি নির্মাণাধীন ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাইটে অফিস কক্ষে অবস্থান করছিলাম। এসময় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া আমার অফিস কক্ষে এসে ১৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

পাশাপাশি একইদিন সন্ধ্যার মধ্যে ১ লাখ টাকা দাবি করেন এবং বাকি ১৩ লাখ টাকা পরবর্তীতে দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে যান। এ সময় প্রজেক্টের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল বাহারকে টাকা দেয়ার চাপও সৃষ্টি করেন ছাত্রলীগ নেতা তুষার কিবরিয়া। এছাড়াও শ্রমিকদের ওপর বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও চাপ প্রদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দিয়ে যান তিনি। এরপর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসাইন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছে এবং হুমকি দিয়েছে তাই আমি নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।

অন্যদিকে ১৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া জানিয়েছেন, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দুর্নীতি, অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা এবং স্বেচ্ছাচারিতা চাপা দিতে আমার ওপর এই অভিযোগ এনেছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাদের দুর্নীতির কথা তুলে ধরায় আমাকে এবং ছাত্রলীগকে কোণঠাসা করতে এই নোংরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এটা প্রশাসনের একটা স্বভাব। আমি ভিসি মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। বিষয়টা দেখার জন্য ভিসি সময় নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকনুজ্জামান বলেন, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা চাদা দাবির অভিযোগ এনে শনিবার একটা জিডি করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসাইন। জিডি নং-৬৮৪, তারিখ- ১৪ এপ্রিল ২০১৯। বিষয়টি আমরা যথাযথভাবে তদন্ত করছি।