নুসরাত হত্যাকাণ্ডে পাহারাদার শামীম ৫ দিনের রিমান্ডে

নুসরাত হত্যাকাণ্ডে পাহারাদার শামীম ৫ দিনের রিমান্ডে

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার আসামি মো. শামীমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ হত্যাকাণ্ডে শামীম পাহারাদারের ভূমিকা পালন করে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিনের আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এর আগে ১৬ এপ্রিল শামীমের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। যারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তাদের বক্তব্যে শামীমের নাম উঠে আসে।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

তাদের মধ্যে রয়েছেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজউদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবসার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. শামীম।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদে কেউ মারধর করছে, এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই ভবনের তিন তলায় যান। সেখানে মুখোশধারী বোরকা পরিহিত ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান নুসরাত। গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

এমজে/