ভোলার কথিত সাংবাদিক আল-আমিন তাওহীদের পরকীয়ার কাহিনী ফাঁস

ভোলার কথিত সাংবাদিক আল-আমিন তাওহীদের পরকীয়ার কাহিনী ফাঁস

ভোলায় স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীর বেসামাল পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মিথ্যা মামলার রোষানলে পরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তার স্বামী। এমন অভিযোগ করেছেন ভোলা পৌরসভা ওয়েষ্টার্ন পাড়া ৬নং ওয়ার্ডের মৃত জালাল আহাম্মেদ মিয়ার ছেলে মোঃ মাকসুদুর রহমান।

স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী বিথী বেগমের অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কারণে তার সংসার ভাঙ্গনের অভিযোগ এনে এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিচার দাবি করে ভোলা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ভোলা পৌরসভার মেয়র, ভোলা প্রেস ক্লাব সভাপতি/সম্পাদক ও বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক বরাবর লিখিতভাবে আবেদন পাঠিয়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগী মোঃ মাকছুদুর রহমানের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের জুলাই মাসের ১৫ তারিখে বোরহান উদ্দিন উপজেলার দেউলা তালুকদার বাড়ির হাবিবুর রহমানের মেয়ে বিথি বেগমের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তার সাথে বিবাহ বন্ধন হয়। এই সংসারে আলফাজ মাহমুদ নামে ৮ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মাকছুদের স্ত্রী বিথি বেগম অত্যন্ত বেপরোয়া ও উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু করে। গত ৬ বছর ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা পদে চাকুরি করছে স্ত্রী বিথী বেগম। বর্তমানে সে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা পদে কর্মরত আছে।

মূলত স্কুল শিক্ষিকা হওয়ার পর থেকেই তার চলাফেরা হয়ে উঠে চরম বেসামাল। গত ৩ বছর ধরে বিথী বেগম শিক্ষকতা পেশার অন্তরালে ভোলার কথিত সাংবাদিক আল-আমিন এম তাওহিদ নামের এক যুবকের সাথে অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে আসছে। এমনকি সম্পর্কের সুবাধে ভোলার বিভিন্ন হোটেলে রাত্রি যাপনের ঘটনাও প্রকাশ পেয়েছে।

অপরদিকে বরিশাল পিটিআইতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় বিথী বেগম ও আল-আমিন তাওহীদ বরিশালের বিভিন্ন হোটেল ও বাসায় অবস্থান করছে বলে মাকছুদের স্ত্রীর সহকর্মীরা মাকছুদকে অবগত করেছে। এসব ঘটনা জানার পর মাকছুদ প্রতিবাদ করলে তার উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালায় তার স্ত্রী।

ইতিমধ্যে আল-আমিন তাওহীদ মাকছুদের স্ত্রীর সাথে তার অবৈধভাবে মেলামেশার ভিডিও আছে বলে তা ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে মাকছুদের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু মান-সম্মানের কথা ভেবে ২০১৮ সালের জুন মাসের ৫ তারিখে আল-আমিন তাওহীদকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দেয় মাকছুদ। তিন মাস পর আবারো ভিডিও ভাইরালের হুমকি দেয় আল-আমিন। পরে তাকে আরো ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দেয় সে।

এতো কিছুর পরেও আল-আমিন ক্ষ্যান্ত হয়নি। এসব বিষয়ে আবারো প্রতিবাদ জানায় মাকছুদ। কিন্তু এবার তার স্ত্রী আল-আমিন তাওহীদকে বিবাহ করেছে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। শুধু তাই নয় এ ঘটনা নিয়ে কোন রকম বাড়াবাড়ি করলে মাকছুদকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে জেল খাটানোসহ মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়। বিথী বেগম শুধু হুমকি দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি। গত মার্চ মাসের ২৯ তারিখে পরিকল্পনা অনুযায়ী মাকছুদের বিরুদ্ধে ভোলা থানায় পথ রোধ করে মারপিট ও শ্লীলতা হানির নাটক সাজিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিথী বেগম। যার মামলা নং-জি আর ৯৫/২৭২। বর্তমানে মাকছুদ পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

এদিকে এক সন্তানের জনক আল-আমিন তাওহীদ গত ৩ বছরে মাকছুদের স্ত্রী বিথী বেগমের মোবাইল নাম্বারে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলার প্রমাণ সংগ্রহ করেছে মাকছুদুর রহমান। গত ২০ জানুয়ারি বিথী বেগমের মোবাইল নাম্বারে আল-আমিন তাওহীদ একটানা ৯৯ মিনিট কথা বলার প্রমাণ পেয়েছে মাকছুদ। বিগত দিনেরও অসংখ্য কল রেকর্ডের প্রমাণও সংরক্ষণ করছে বলে জানান মাকছুদ। এমতাবস্থায় ভূক্তভোগী মাকসুদ তার স্ত্রীর অপকর্মের বিচার দাবি করেছেন এবং তার সন্তানকে ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে কথিত সাংবাদিক আল আমিন তাওহীদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এমআই