ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ‘ধর্ষণ’ করলেন কোচিং সেন্টারের মালিক

ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ‘ধর্ষণ’ করলেন কোচিং সেন্টারের মালিক

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কোচিং সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কোচিং সেন্টারের মালিকের নাম সাইফুল ইসলাম।

গত ১২ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে সাইফুল ইসলাম পলাতক।

প্রতিবেশীরা ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এক সপ্তাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) নিজ বাড়িতে ফিরেছে।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘ঘটনার আগের দিন আমি বিশেষ কাজে আমার বড় মেয়ের শ্বশুড় বাড়িতে যাই। ঘটনার দিন সকাল ৮টার দিকে সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আমার অবস্থান কোথায় জানতে চায়। আমি বড় মেয়ের শ্বশুড় বাড়িতে আছি বলে জানাই। এরপর সে আমার ঘরে এসে মেয়েকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে।’

ওই ছাত্রীর মা আরও বলেন, ‘এ সময় আমার মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালস্থ ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কো-অর্ডিনেটর ডা. সৈয়দা মাফরুহা নিগার লোহাগাড়া থানায় এজাহার প্রেরণ করার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীর মাকে বাদী করে মামলা করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘থানার এসআই বিকাশ রুদ্রকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি সাইফুল ইসলাম।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর আমিরাবাদের আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে উত্তর আমিরাবাদে সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার খুলে। এলাকার ছেলে সাইফুলের অনুরোধে উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র তৈরি হয়।

এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ রুদ্র বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষক যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য আমরা বিমানবন্দর ও স্থলবন্দর সমূহে বিশেষ বার্তা প্রেরণ করেছি। আশা করি ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।’

এমজে/