লাবণ্যকে বহনকারী মোটরবাইক চালক আটক

লাবণ্যকে বহনকারী মোটরবাইক চালক আটক

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্যকে বহনকারী উবার মোটরবাইক চালক সুমনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের একটি টিম তাকে মোটরবাইকসহ আটক করে।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিং এর ২ নং রোডের ২৫ নং বাসার ষষ্ঠ তলা থেকে উবার বাইক চালক মোঃ সুমন হোসেনকে আটক করা হয়। সেই বাসার নিচ তলার গ্যারেজ থেকে ফাহমিদা হক লাবণ্যকে বহনে ব্যবহৃত মোটর বাইকটি উদ্ধার করা হয়। মোটর বাইকটির নং ঢাকা মেট্রো হ ৩৬-২৩৫৮।

আটককৃত উবার চালক সুমন জানায়, ‘ঘটনার দিন সকালে কলেজ গেটে অবস্থানকালে তার চেয়ে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থানকারী একজন উবার কলার (ফাহমিদা হক লাবন্য) এর কল পেয়ে সকাল ১০টা ৩৬মিনিটে সুমন তাকে ফোন করেন।

ফাহমিদা হক লাবন্য খিলগাঁও ছায়াবিথি মসজিদের সামনে যেতে চান জানিয়ে সুমনকে শ্যামলী ৩ নং রোডের ৩১ নং বাসার সামনে যেতে বলেন। লাবন্য শ্যামলী ৩ নং রোডের ৩১ নং বাসার সামনে সুমনের বাইকে উঠেন। রাস্তায় যানজট ছিল।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি পৌছামাত্র এক পথচারীকে বাইকের সামনে দৌঁড়ে রাস্তা পার হতে দেখে সুমন বাইকে ব্রেক করেন। ফলে লাবন্য মোটর বাইকের ডানদিকে পড়ে যান। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন দিকে ধাক্কা তাকে দেয়।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়েছে। বাইক চালক সুমনের বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি বাইক চালক হিসেবে তার অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটির চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সামনে বিশ্ববিদ্যায়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত হন লাবণ্য। তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিএসই) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বাবার নাম ইমদাদুল হক। তারা শ্যামলীর ৩ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাসায় থাকতেন।

এমআই