বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন

গণপরিবহনে ৯৫ শতাংশ যাত্রী যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার

গণপরিবহনে ৯৫ শতাংশ যাত্রী যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার

ইফতারির আগমুহূর্তে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন রাজধানীর যাত্রীরা। পরিবর্তিত অফিস সময় অনুযায়ী যানজট, গণপরিবহন সংকটসহ নানা কারণে নগরীর যাত্রীরা এ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নগরীতে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের প্রায় ৯৭ শতাংশ সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা বন্ধ করে যাতায়াত করছে।

এতে নগরীর মাঝপথের বিভিন্ন স্টপেজের যাত্রীসাধারণ চরম নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে। এসব বাসগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি (কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত) ভাড়া আদায় করছে।

অপরদিকে সিএনজি অটোরিকশা শতভাগ চুক্তিতে চলাচল করছে। এতে মিটারের প্রায় ৩/৪ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আর রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল অ্যাপসে না চলে চুক্তিতে বেপরোয়া চলছে।

শনিবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে সমিতির ৩টি টিম গত ৭দিন রাজধানীর কয়েকটি স্পট পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে কোন কোন বাস কোম্পানি বেশি ভাড়া আদায় করছে, কোন গাড়ি দরজা বন্ধ করে চলছে সেসব নাম প্রকাশ করেনি।

তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯০ শতাংশ যাত্রী রমজানে গণপরিবহন ব্যবস্থার এসব কর্মকাণ্ডে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ৯৫ শতাংশ যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হন। ৯৮ শতাংশ যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের শিকার হন। ৬৮ শতাংশ যাত্রী চলন্তবাসে উঠানামা করতে বাধ্য হন। সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও ৩৬ শতাংশ যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, হয়রানির শিকার হলেও অভিযোগ কোথায় করতে হয় তা জানেন না ৯৩ শতাংশ যাত্রী। তবে ৯০ শতাংশ যাত্রী মনে করেন অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়না বলেই তারা অভিযোগ করেন না।

প্রতিবেদেন বলা হয়, একমাত্র বিআরটিসি ও হাতোগোনা কয়েকটি কোম্পানির বাস লোকাল হিসেবে চলাচল করে। এইসব বাসে মাঝপথের যাত্রীরা বাদুরঝোলা হয়ে যাতায়াত করছেন।

এতে আরো বলা হয়, রাইড শেয়ারিংয়ে চলা মোটরসাইকেল বিকাল ৪টার পর থেকে অ্যাপস এর পরিবর্তে খ্যাপে ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়ায় যাত্রী বহন করে।

এমআই