আ’লীগ নেতার ক্ষোভ: ভোট কেটে চেয়ারম্যান বানিয়েছি এখন মূল্যায়ন করে না

আ’লীগ নেতার ক্ষোভ: ভোট কেটে চেয়ারম্যান বানিয়েছি এখন মূল্যায়ন করে না

মদাপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, কালুখালী উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম জনগণের ভোট পেয়ে জয়ী হননি। মদাপুর ইউনিয়নের মিজানুর রহমান মজনু ও তার (শহীদুল) কেন্দ্রে ভোট কেটে সাইফুলকে চেয়ারম্যান বানানো হয়েছিল। তার অভিযোগ, ভোটে জেতার পর সাইফুল ইসলাম কোনো নেতা-কর্মীকে মূল্যায়ন করেননি।

শনিবার সাড়ে ১১টায় রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শহীদুল এসব অভিযোগ করেন। শহীদুল ১৯৮৮ সাল থেকে মদাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এই উপজেলায় ভোট হবে আগামী ১৮ জুন। গতবারের আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম এবার দলীয় প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচন করছেন। অবশ্য শহীদুলের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ওদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ নেই। নির্বাচনে তাঁরা তেমন সাড়া পাচ্ছে না। নিশ্চিত পরাজয় জেনে আবোল-তাবোল বকছে। খারাপ লোক কাউকে খারাপ বললে সে খারাপ হয়ে যায় না।

রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কাজী সাইফুল স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাকেসহ বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। এমনকি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরেও আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। এ কারণে আমরা সাইফুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচন করছি না।

কালুখালী উপজেলা নির্বাচনে মোট চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম। আর দুজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এঁরা হলেন নুরে আলম সিদ্দিকী হক ও আলীউজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য খাইরুল ইসলাম, কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিউর রহমান নবাব, সাওরাইল ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম আলী, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

এমআই