ঈদের সকালে রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি

ঈদের সকালে রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি

পশ্চিমা-পূবালী বায়ুর প্রভাবে বুধবার ( ৫ জুন) ভোর রাত থেকে সারাদেশের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সকাল হতেই কোথাও কোথাও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরমধ্যেই মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নিতে ঘর থেকে বের হন। সকাল সাতটা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে পানি জমে যায়। রাস্তায় রিকসা ও সিএনজি চলাচল কম থাকায় ঈদের জামাতে অংশ নিতে যারা বের হয়েছিলেন, তারা ভোগান্তিতে পড়েন। এতে করে ঈদের জামাতগুলো শুরু হতে দেরি হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি থাকবে। সন্ধ্যায় কমে আসতে পারে।’ সারাদিনই বৃষ্টি থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বছরের এ সময় এমন বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক।’

বৃষ্টির কারণে বাবার কোলে চড়ে ঈদের নামাজ পড়তে যাচ্ছে শিশুটিদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এরপরের কয়েকদিনও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়নসিংহের কিছু অংশে ঈদের দিন অর্থাৎ বুধবার সকালেই বৃষ্টি হতে পারে। রংপুর আর রাজশাহীর দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে কিছু কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে।

পশ্চিমা-পূবালী বায়ুর সংযোগের ফলেই এই বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, যদি কোনও কারণে ঈদ বৃহস্পতিবারেও হয়, সেক্ষেত্রেও একই আবহাওয়া বিরাজ করবে।

বৃষ্টিতে ভিজে জামাতে অংশ নিতে যাচ্ছেন মুসল্লিরা

রুহুল কুদ্দুস আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে দেশের উপকূলে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ ঘটতে পারে। এতে বর্ষার আবির্ভাব ঘটবে।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বগুড়ায় ৬৭ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকা বিভাগের মধ্যে নিকলিতে ৫৮ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৫৮ মিলিমিটার, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে হাতিয়ায় ১৫ মিলিমিটার, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ২০ মিলিমিটার, রংপুরের সৈয়দপুরে ১২ মিলিমিটার এবং বরিশালের পটুয়াখালীতে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া সংস্থা আকু ওয়েদার জানায়, ৫ জুন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ৬ জুন এবং ৭ জুনেও একই আবহাওয়া বিরাজ করবে। এসময় তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।