কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে মোশারফ (১৯) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের দৃশ্যটি মুঠোফোনে ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করা হলে ভিডিওটিও ভাইরাল হয়।
ভিডিও’র সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নির্যাতনকারী সাজ্জাদ হাসান হিটলারকে (৩০) আটক করেছেন। আটক সাজ্জাদ হাসান হিটলার তাড়াইল উপজেলার দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে তাড়াইল উপজেলার দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, মোশারফ নামের ওই মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণের রশি দিয়ে বাঁধা দুই পা এক ব্যক্তি ধরে রেখেছেন। অভিযুক্ত সাজ্জাদ হাসান হিটলার মোশারফকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। এ সময় চারপাশে লোকজন দাঁড়িয়ে দৃশ্যটি দেখছিলো। বেধড়ক মারপিটের সময় মোশারফ আর্ত-চিৎকার করে তার বাবা-মাকে ডাকছিলো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রাম শামুকজানি গ্রামের কেন্তু মিয়ার ছেলে মোশারফ। পাশের গ্রাম দড়িজাহাঙ্গীরপুরের অবসরপ্রাপ্ত কাস্টম কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান খান শাহানের বাড়ির ছাদের ওপর ওঠে মোশারফ নারকেল গাছে ওঠার চেষ্টা করছিল। এতে বাউন্ডারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় বাড়ির লোকজন মিলে তাকে আটক করে। এরপর বাড়ির মালিক মোখলেসুর রহমান খান শাহানের নির্দেশে বাড়ির পাশের গুলবাগ জামে মসজিদের সামনে খোলা মাঠে চোর আখ্যা দিয়ে ছেলেটিকে বেঁধে নির্দয়ভাবে পেটানো হয়। পরে উপস্থিত একজন ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মুজিবুর রহমান জানান, দুপুরে বিষয়টি তার নজরে আসার পর পরই অভিযুক্ত সাজ্জাদ হাসান হিটলারকে আটক করে তারা থানায় নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার মোশারফের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এমআই