গাইবান্ধায় অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি!

গাইবান্ধায় অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি!

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি করে দিয়েছে দুইটি পরিবার। জানা যায়, উপজেলার সর্বানন্দা ইউনিয়নের রাজবাড়ি গ্রামের হাবিল মিয়া দেড় বছর আগে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার এক মেয়েকে এবং একই উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম দুই বছর আগে ৫ হাজার ও তিন বছর আগে ১৫ হাজার টাকায় দুই মেয়েকে অন্যের হাতে তুলে দেন।

মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় সন্তান বিক্রির টাকা দিয়ে দু’জনই কিনেছেন বসতভিটা। মেয়ের বিয়ে দেওয়াসহ মেটানোর চেষ্টা করেছেন সাংসারিক নানা ধার দেনা।

ভুক্তভোগী হাবিল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, সন্তান জন্ম দিলেও প্রতিপালনের সক্ষমতা আমার নাই। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। কোনো কাজ করতে পারি না। অন্যের বসতভিটায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন যাপন করছি। তারা সেখানে আর থাকতে দিচ্ছে না। এমতবস্থায় আমার এক ভাতিজার প্রস্তাবে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক সম্পদশালী ব্যক্তির কাছে এক মেয়েকে বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে একখণ্ড বসতভিটা কিনেছি এবং এক মেয়েকে বিয়ে দেই।

আরেক ভুক্তভোগী আশরাফুল গণমাধ্যমকে বলেন, সহায়-সম্বলহীন সংসারের অভাব-অনটনের কারণে দুটো বাচ্চা বিক্রি করে দিয়েছি। একটাকে বিক্রি করে পেয়েছি ৫ হাজার টাকা, অন্যটির বেলায় পেয়েছি ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা দিয়ে সংসারের অভাব ঘোচানোর চেষ্টা করেছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার দুর্গম এলাকায় অসহায় এ মানুষের খোঁজ নেন না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ভোটের সময় চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপিরা আসেন ভোট চাওয়ার জন্য। কিন্তু ভোট শেষে তাদের আর দেখা মেলে না।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা-৫ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন, অভাবের কারণে সন্তান বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

এমআই