চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সিআইডি কনস্টেবল জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি শেফালী অধিকারী নিহত হয়েছেন।
এ সময় কনস্টেবলের ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছেন তার স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারী। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের সিআইডি বিভাগের কনস্টেবল জামাই অসীম অধিকারী হামলার পরপরই পালিয়ে গেছেন।
নিহত শাশুড়ি শেফালী অধিকারী আলমডাঙ্গা মাদ্রাসাপাড়ার সদানন্দ অধিকারীর স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, ৯ বছর আগে পুলিশের সিআইডি কনস্টেবল খুলনার দৌলতপুরের অসীম কুমার অধিকারীর সঙ্গে ফাল্গুনী অধিকারীর বিয়ে হয়। তাদের ৬ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
অসীম কুমার অধিকারী বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অসীম কুমার শ্বশুরবাড়ির নিকটবর্তী আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন। ইদানীং সিআইডি কনস্টেবল অসীম অধিকারী তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। শুক্রবার রাতে সন্দেহবশত তিনি স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। পরে স্ত্রী পালিয়ে বাবার বাড়ি গিয়ে ওঠেন।
অসীমের শ্বশুর সদানন্দ অধিকারী জানান, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে জামাই অসীম অধিকারী তার বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে ডাকাডাকি শুরু করেন। সে ঘরের দরজা খুলে দিলে জামাই অসীম হাতে থাকা ছুরি নিয়ে স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারীর ওপর হামলে পড়ে। তার বুকে ও তলপেটে ছুরিকাঘাত করে সে। মেয়ের চিৎকারে শাশুড়ি শেফালী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারী ছুটে গেলে অসীম কুমার তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে। শাশুড়ি ও শ্যালকের বুকের বামপাশে ছুরিকাঘাত করে সে।
শ্বশুর সদানন্দ বলেন, আমি ছুটে গেলে আমাকেও ধরে দেয়ালের সঙ্গে মাথা থেঁতলে দেয় সে। জামাই অসীম কুমারের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শাশুড়ি শেফালী অধিকারী। স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী, শ্যালক আনন্দ অধিকারী ও শ্বশুর সদানন্দ অধিকারীকে উদ্ধার করে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংবাদ পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ ও শনিবার সকালে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, ‘এ ঘটনায় শনিবার সকালে হামলাকারী জামাই অসীম অধিকারীর বিরুদ্ধে শ্বশুর সদানন্দ অধিকারী আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি করা হয়েছে সিআইডি পুলিশের কনস্টেবল অসীম অধিকারীকে। আমরা অসীম অধিকারীকে খুঁজছি। তাকে পেলেই গ্রেফতার করা হবে।’