নতুন বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য এক হাজার ৯২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এরমধ্যে সাংবিধানিক সংস্থাটির জন্য পরিচালন খাতে ৭৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও উন্নয়ন খাতে ১১৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বাজেট অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে ইসির অন্তত ১১টি খাতে কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ছবিসহ ভোটার তালিকা, সংসদের উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপনির্বাচন, স্মার্ট কার্ড প্রদান, দুই বছর মেয়াদি পেপার লেমিনেটেড পরিচয়পত্র, ইভিএম প্রকল্পের আওতায় ৮২০০০ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়, দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধন ও এনআইডি প্রদান, এনআইডি তথ্য যাচাই এবং ইসির উন্নয়ন ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
একাদশ সংসদ নির্বাচন থাকায় গত অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ইসির সংশোধিত বাজেট ছিল ৪৩৪৩ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার টাকা ।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ইসির বাজেট বরাদ্দ কম থাকলেও ইভিএম কেনা ও ভোটের পরে সংশোধিত বাজেটের পরিধি বেড়ে যায়।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ইসির জন্যে ৯৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮০১ কোটি ৫৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল।
এমআই