ধর্ষণের পর প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, সেই ইমরান গ্রেপ্তার

ধর্ষণের পর প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, সেই ইমরান গ্রেপ্তার

টঙ্গীর চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় ধর্ষণকারী মো. ইমরান খানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছেে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। গ্রেপ্তার ইমরান ওই নারীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছিল।

শনিবার সকালে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম এসব কথা জানিয়েছেন।

সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, গত ১১ জুন টঙ্গীর ব্যাংক পাড়া মহিলা মাদ্রাসার পাশের বাসায় ওই গৃহবধূকে একা পেয়ে ইমরান ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারী বাধা দেওয়ায় তাকে মারধরও করে ইমরান। ধর্ষণের পর এই ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম বিষয়টি তার স্বামী ও এলাকাবাসীকে জানালে ধর্ষক ইমরানের পরিবার বিষয়টি মীমাংসা করতে তৎপরতা শুরু করে।

তিনি জানান, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ধর্ষকের পরিবার ও এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছিল।কিন্তু বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে ধর্ষণকারী ইমরান গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কৌশলে পালিয়ে যায়।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ওই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ জুন রাতে র‌্যাব-১ অভিযান চালিয়ে টঙ্গী কলেজ গেট এলাকা থেকে ধর্ষণকারী মো. ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব আরো জানায়, ইমরান ২০০৫ সালে এসএসসি পাস করার পর থেকে তার চাচার রেস্টুরেন্টে কাজ করে। সে ইতিপূর্বেও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই ভিকটিমকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিল। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে গত ১১ জুন ভিকটিমকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় মারামারি, চাঁদাবাজি, নারী শ্লীলতাহানিসহ অনেক মামলা রয়েছে।

এমআই