মানবপাচার মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

মানবপাচার মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানবপাচার মামলার পলাতক দুই আসামি নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন মিয়ানমারের নাগরিক।

শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

নিহত দুজন হলেন মোহাম্মদ রুবেল (২৩) ও উমর ফারুক (১৯)। রুবেলের বাড়ি টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ায়। তাঁরা বাবার নাম রশিদ আহমদ। আর ফারুক মিয়ানমারের নাগরিক। তিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা ছিলেন।

টেকনাফ থানা-পুলিশের ভাষ্য, নিহত দুজনই মানব পাচার মামলার পলাতক আসামি ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ২টি দেশীয় অস্ত্র (এলজি), শটগানের ১১টি তাজা গুলি ও ১৮টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মহিউদ্দিন ও মো. শামীম রেজা আহত হয়েছেন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে পলাতক আসামি গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একটি দল উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে (রুবেল ও ফারুক) উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে বন্দুকযুদ্ধে আহত পুলিশের তিন সদস্যকে সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া পথে রুবেল ও ফারুক মারা যান।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজন (রুবেল ও ফারুক) ও পুলিশের আহত তিন সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের (রুবেল ও ফারুক) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুজনের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। আহত পুলিশ সদস্যদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, ৪৯ জন রোহিঙ্গাকে পাচার করার মামলার পলাতক আসামি ছিলেন রুবেল ও ফারুক। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করছিলেন।

এমজে/