সুনামগঞ্জে পানিবন্দি লাখো মানুষ

সুরমার পানি বিপদসীমার ৫৭ সে.মি. উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সুরমার পানি বিপদসীমার ৫৭ সে.মি. উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সুনামগঞ্জে ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার ছয় উপজেলার নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত না হলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

জেলার সুরমা, যাদুকাটা, চলতি নদী ও ছেলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এদিকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ওই সব এলাকার বেশির ভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী বন্যার সৃষ্টি হয়েছে বললেও প্রশাসন বলছে এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি । তবে নিম্নাঞ্চলের লাখো পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলার আরো কিছু নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে।

তাহিরপুরের মূল সড়কটি পানির নিচে ডুবে থাকায় সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে তাহিরপুরের সব ধরনের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে।

এদিকে গত কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরের বেশ কিছু সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। তবে এখনো জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে শহরের তেঘরিয়া, বড়পাড়া, নতুনপাড়া, জামতলা, উকিলপাড়া এলাকার অধিকাংশ বসতবাড়ি ও ডোবায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, ১১ উপজেলায় এরই মধ্যে ৩০ মেট্রিক টন জিআর চাল ও শুকনো খাবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে। শনিবার থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চাল ও শুকনো খাবার দেওয়া হবে।

এমজে/