ধনীদের স্বার্থ দেখে আইন প্রণয়ন করা হয়: ড. মিজান

ধনীদের স্বার্থ দেখে আইন প্রণয়ন করা হয়: ড. মিজান

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, অবস্থান পরিবর্তন ঘটাতে হলে উই নিড এ নিউ বিগিনিং। নতুন একটা যাত্রা শুরু করতে হবে। সেখানে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। জবাবদিহিতা থাকতে হবে। থাকতে হবে আইনের শাসন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হয়ে গেছে ধনীদের। গরিবের স্বার্থের কথা এ রাষ্ট্র চিন্তা করে কিছু করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সড়ক দুঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণঃ নিরাপত্তা বীমার প্রয়োজনীয়তা, আলাদা তহবিল গঠন ও পরিকল্পনা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সেমিনারে সংগঠনটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ, প্রাইম ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদী খানম, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।

মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনর ভাইস চেয়ারম্যান এম এস সিদ্দিকী।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান আরো বলেন, এ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হয়ে গেছে ধনীদের। গরিবদের স্বার্থের কথা এ রাষ্ট্র চিন্তা করে কিছু করে না। সড়ক পরিবহনের আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রেও তা দেখা গেছে। নিজেকে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র মনে করে তাহলে তাকে জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। কারণ আমাদের আইন সভায় সব সময় ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব। তাদের স্বার্থ দেখেই আইন প্রনয়ণ করা হচ্ছে।

ব্যাংকের টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে না গেলে ঋণ খেলাপি হলেই কোনো ব্যক্তিকে খারাপ বলা যায় না এমন বক্তব্য প্রসঙ্গেও ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দেখুন আমরা কোন সমাজে আছি তা বলতে পারছি না। যারা দিবালোকে আইন অমান্য করছে তাদের উচ্চাসনে বসাতে কুন্ঠা করছি না।

তিনি বলেন, যারা জনগণের অর্থ লুন্ঠন করে তাদের সার্টিফিকেট দেয়ার দরকার নেই। অথচ একজন ভিক্ষুক থেকে জনগণ সকলেই কর দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সব জায়গায়তেই যে আইনের শাসন নেই তা-তো এ গোলটেবিল বৈঠকেই আলোচিত হয়েছে। এ রাষ্ট্রতে এখন যে আইন মেনে চলবে না বা তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না- তাহলেইতো আমি ভিআইপি পারসনে পরিণত হতে পারবো-এমন অবস্থা চলছে। এই যে মুল্যবোধের অভাবের জায়গাগুলি এখন এড্রেস করার সময় এসেছে। তবে তিনি প্রশ্ন করে বলেন, সেখানে ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব সেখানে কি গণমুখী আইন হবে।

এমআই