ডিআইজি মিজানের দেহরক্ষী ও গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

ডিআইজি মিজানের দেহরক্ষী ও গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের দেহরক্ষী এবং গাড়িচালককে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে আগামীকাল রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেহরক্ষী হৃদয় হাসান এবং গাড়িচালক সাদ্দাম হোসেনকে আগামীকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ১ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে হাজির হতে মিজানকে চিঠি দেয় কমিশন। ওইদিন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির না হলে ৮ জুলাই তাকে আবার হাজির হতে চিঠি দেওয়া হয়।

দুদকের মামলায় মিজানুর রহমানকে গত মঙ্গলবার কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এ ছাড়া একই মামলায় মিজানুর রহমানের ভাগনে ঢাকার কোতয়ালী থানার এসআই মাহমুদুল হাসানকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠান আদালত।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর পরিচালক মনজুর মোর্শেদ বাদী হয়ে গত ২৪ জুন মামলাটি (মামলা নম্বর ১) দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, ডিআইজি মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল খবর প্রচার করে যে, দুর্নীতির মামলা থেকে মুক্তি পেতে ডিআইজি মিজান দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন।

২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে জোর করে বিয়ে করার সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরসহ দুদকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। পরে ২৫ জুন তাকে বরখাস্তের কথা সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।