রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হলিদাগাছী এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ঘটনা তদন্তে বুধবার রাতে বিভাগীয় ট্রান্সপোর্ট অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পশ্চিম রেল কর্তৃপক্ষ।

কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খন্দকার শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে লাইনচ্যুতের ঘটনায় সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া রাতের সব ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। রাতে যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। লাইনচ্যুত তেলবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধারে কাজ চলছে।

রাজশাহী রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো আব্দুলপুর স্টেশনে আটকা পড়ে আছে। ফলে আন্তঃনগরসহ সবকটি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।

রাজশাহী রেলস্টেশন মাস্টার জাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সারদা স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার রাজশাহীর দিকে এসে ট্রেনটির ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

এতে রাজশাহীর সঙ্গে সব রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন পরিদর্শন করেছেন। তেলবাহী বগি উদ্ধার কাজ চলছে।

এদিকে রাত ১২টা পর্যন্তও লাইনচ্যুত তেলবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধারে তেমন কোনো অগ্রগতি ছিল না। ঘটনাস্থলে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে বগিগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

তবে উদ্ধার কাজে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। ঘটনার আগে থেকেই রাজশাহীতে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কর্মীদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে দেরি হয়। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রেল কর্তৃপক্ষ উদ্ধার কাজ শুরু করে।

পশ্চিম রেলের সিগনাল বিভাগের প্রধান অনিল কুমার তালুকদার জানান, উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে এটি ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ধার কাজ শেষ হতে কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করা বলা যাচ্ছে না। আর উদ্ধার তৎপরতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে বলে জানান পশ্চিম রেলের এ কর্মকর্তা।

এমজে/