ভাংচুর ও লুটতরাজের অভিযোগ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা

ভাংচুর ও লুটতরাজের অভিযোগে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (৮৫), গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার দেলোয়ার হোসেন (৫৭), গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুরতজা আলী বাবুসহ (৫৭) ৯৬ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় ১৪৩ /৪৪৭ /৩২৩ /৩৭৯ /৩৮০ /৪২৭ /৫০৬ দঃ বিঃ মামলা নং ৪৫ রুজু করেন।

মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আলী উল্লেখ করেন, আশুলিয়ার পাথালিয়া মৌজাস্থিত এস এ ৯ আর এস-১৬৬ নং খতিয়ানের সিএস ও এসএ-৫২৪ আরএস-১১৫০ নং দাগে ৪.২৪ একর সম্পত্তি আমিসহ তাজুল ইসলাম ও আনিছুর রহমান ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে থাকাকালে চারপাশে বাউন্ডারী ও গেট নির্মাণ করে ভোগদখলে নিয়োজিত রয়েছি। ১নং বিবাদী ডা. জাফরুল্লাহ আমাদের উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে পাঁয়তারাসহ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রেক্ষিতে আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি ও মামলা দায়ের করি।

বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় ১নং বিবাদীর হুকুমে অন্যান্য বিবাদীগণ ভেকু নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে ২জন সিকিউরিটি গার্ডকে মারধর করে ৩টি কম্পিউটার, ৮২টি চেয়ার, ২৮টি সিলিং ফ্যান, ৩টি ফায়ার এক্সটেনগুলেশন হাতিয়ে নেয়। বিবাদিরা ভাংচুর করে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া সিকিউরিটি গার্ডদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুরতজা আলী বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি ও স্থাপনা জনৈক মোহাম্মদ আলী ও তার সঙ্গীয়রা কতিপয় ভাড়াটে সন্ত্রাসীর দিয়ে জবর দখল করে রেখেছে। ঘটনায় একাধিক মামলা দিয়ে তিনিসহ ট্রেজারার দেলোয়ার হোসেন ও প্রতিষ্ঠানের বয়োবৃদ্ধ সম্মানিত চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে হয়রানী করে আসছে। জমি সংক্রান্ত মামলায় উল্লেখিত ৪.২৪ একর জমি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষে বিজ্ঞ আদালত রায় প্রদান করেন। হঠাৎ এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহ করতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উক্ত বাউন্ডারী ঘেরা স্থাপনা জবর দখলকৃত মোহাম্মদ আলী গংরা ভেঙ্গে ফেলে উল্টো তাদেরকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে মামলায় তাদেরকে জড়িয়েছে। এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা রটানোর জন্য তীব্র নিন্দা জানান তিনি। উল্লেখিত ঘটনার সাথে তিনি ও মামলার এজাহারের কেউ জড়িত নন। এটি একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো মামলা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এমআই