লালপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ মামলার আসামী নিহত

লালপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ মামলার আসামী নিহত

নাটোরের লালপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ মামলার আসামী শুটার মানিক ওরফে সুমন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে মানিকের বিরুদ্ধে। তিনি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পূর্বটেংরী শেরপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৫ই জুলাই বড়াইগ্রামে কলেজ ছাত্রকে গুলি করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ হত্যা মামলায় শুটার মানিককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সম্প্রতি লালপুরে আলোচিত বাগচিকে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই ও অটো চালককে গুলি করে অটো ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন মানিক।

পুলিশ আরো জানায়, অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার রাতে লালপুর থানা পুলিশ বড়াইগ্রাম থেকে লালপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় গোপালপুরের তোফাকাটা মোড়ে পৌঁছলে শুটার মানিকের সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।

এ সময় পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে মানিক পালানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হন। উভয়পক্ষের গোলাগুলির একপর্যায়ে মানিকের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিককে লালপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, হত্যাসহ মোটরসাইকেল ও অটো ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত শুটার মানিককে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ ও অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে পালানোর চেষ্টাকালে মানিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

তার বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী, লালপুর, বড়াইগ্রামসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টির অধিক মামলা রয়েছে। তার অপর সহযোগীদের আটকের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।