বগুড়ায় যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৭ সেমি ওপর : দুর্ভোগে ৮০ গ্রামের মানুষ

বগুড়ায় যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৭ সেমি ওপর : দুর্ভোগে ৮০ গ্রামের মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ও অব্যাহত বৃষ্টিপাতে বগুড়ায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে সোনাতলা ও সারিয়াকান্দির নিম্নাঞ্চলের ৮০টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলা পয়েন্টে যমুনার পানি ১৫ ঘন্টায় ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রোববার সকাল ৯টায় বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপদ সীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলা প্রশাসকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার ত্রাণ কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিপরীতে পূর্বদিকে জেলার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলায় বন্যার পানিতে ৫৬৮ হেক্টর কৃষি জমি ও দুই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৬০টি পরিবারের ৫৭ হাজার ২৮০ জন মানুষ। ৬০টি কাঁচা ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। সোনাতলা ও সারিয়াকন্দি উপজেলার ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ত্রাণ হিসাবে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। যমুনা তীরবর্তি সোনাতলা উপজেলায় ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, সাড়ে ১০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় প্রচুর ত্রাণসামগ্রী মজুদ আছে।

এদিকে, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের যমুনা নদীর চরের নিচু এলাকা ডুবে গেছে। এতে পাট, আউশসহ জমির শাকসবজি ডুবে গেছে।

এমজে/