রিফাত হত্যাকাণ্ড

রিফাত ফরাজী আরও ৭ দিনের রিমান্ডে

রিফাত ফরাজী আরও ৭ দিনের রিমান্ডে

আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১৩ আসামির মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া ৯ আসামির মধ্যে ৮ জনকে সোমবার নির্ধারিত তারিখে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে রয়েছেন জয় চন্দ্র সরকার ওরফে চন্দন, হাসান, রেজোয়ানুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয়, নাজমুল হাসান, তানভির হোসেন, নাফিউল ইসলাম রাব্বি ও সাগর।

রাতুল ইসলাম জয় অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে আগের দিন যশোর শিশু হোমে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রিফাত ফরাজীকে সোমবার আরও ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া স্বীকারোক্তি দেয়ায় কামরুল হাসান সায়মুনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামি আল কাউয়ূম ওরফে রাব্বি আকন ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ পুলিশ রিমান্ডে আছে।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জুলাই নিহত হয়েছে। মামলার অপর প্রধান আসামি রিফাত ফরাজীকে সোমবার আরও ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। দুই মামলায় রিফাতের তৃতীয় দফায় ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

রিফাত ফরাজী রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তার বক্তব্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতিটি উদ্ধার করে পুলিশ। রিফাত ফরাজীর বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় এসআই মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে অপর একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় রিফাত ফরাজীর ৭ দিন রিমান্ড সোমবার শেষ হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির যুগান্তরকে বলেন, হত্যা মামলায় রিফাত ফরাজীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুল ইসলাম গাজী রিফাতের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে থাকা আসামি কামরুল হাসান সায়মুন স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। তবে রিফাত ফরাজী রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেয়া দরকার ছিল। আপনারা সবই জানতে পারবেন।

তবে রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমরা যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি।