এবার ঘুষ লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার ডিআইজি মিজান

এবার ঘুষ লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার ডিআইজি মিজান

দুদকের এক কর্মকর্তার সঙ্গে ৪০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ডিআইজি মিজানকে হাজির করে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৬ জুলাই ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ডিআইজি মিজান ও দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।

এদিকে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাক ঘুষ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ডিআইজি মিজান।

তবে অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান বানোয়াট রেকর্ড সরবরাহ করেছেন।

এদিকে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক পরিচালক এনামুল বাছির ঘুষ গ্রহণ করেছেন, এটা অডিও রেকর্ডে প্রমাণ আছে। অন্যদিকে ডিআইজি মিজান নিজেই ঘুষ দেয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। দুদক মনে করছে, এর মাধ্যমে ডিআইজি মিজান নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

দু’জনই ঘুষ লেনদেনে জড়িয়েছেন, যা দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৫(১), ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) (ক্ষমতার অপব্যবহার) ধারায় অজামিন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।