কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা এসকে সিনহার

কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা এসকে সিনহার

বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা এবার কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বলে খবর এসেছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। কানাডার সংবাদমাধ্যম দি স্টার জানিয়েছে, গত ৪ জুলাই ফোর্ট এরি সীমান্ত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় প্রবেশ করেন সিনহা এবং সেখানেই তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দেন তিনি। টরন্টো থেকে প্রকাশিত পত্রিকা কানাডিয়ান কুরিয়ার জানিয়েছে, বিচারপতি এসকে সিনহার সাথে তার স্ত্রী সুষমাও কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।

কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার আরো জানিয়েছে, রাজনীতিক-আমলা-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় বাংলাদেশে তাকে ‘টার্গেট’ বানানো হয়েছে অভিযোগ তুলে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন এসকে সিনহা। তবে কানাডার বাংলাদেশ হাইকমিশন সিনহার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, আশ্রয় পাওয়ার স্বার্থে বহুদিন থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করে আসছেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।

এর আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন বিচারপতি এসকে সিনহা। নিউ জার্সিতে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা একটি বাড়িতেই এত দিন থাকছিলেন তিনি।

এদিকে দ্য স্টারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছেন, ‘বিচারক হিসেবে আমি অ্যাকটিভিস্টের ভূমিকা নিয়েছিলাম বলেই আমাকে লক্ষ্যবস্তু (টার্গেট) বানানো হয়েছে। আমার দেয়া রায় আমলা, স্টাবলিশমেন্ট, রাজনীতিক, এমনকি সন্ত্রাসীদের ক্ষোভের কারণ হয়েছিল। আমি এখন নিজের দেশেই অবাঞ্ছিত।’

সাক্ষাৎকারে নিজেকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সিনহা। কূটনীতির ভাষায়, কোনও দেশের নাগরিককে যখন ওই দেশের সরকার দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করে তখন তাকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তখন তারা বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারেন।

উল্লেখ্য, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ছুটিতে যান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। প্রধান বিচারপতির পদ থেকে এসকে সিনহার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

এমজে/