‘ছেলেধরা’ গুজবে গণপিটুনির শিকার মিনু মিয়া চলে গেলেন না ফেরার দেশে

‘ছেলেধরা’ গুজবে গণপিটুনির শিকার মিনু মিয়া চলে গেলেন না ফেরার দেশে

‘ছেলেধরা’ গুজবে গণপিটুনির শিকার ভূঞাপুরের ভ্যানচালক মিনু মিয়া অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। গণপিটুনির শিকার হওয়ার পর টানা ৯দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ১০টার দিকে মারা যান তিনি।

মনু মিয়ার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ী গ্রামে। জন্মের কিছুদিন পরেই মা হারা হন মিনু মিয়া। এরপর থেকে স্থানীয়দের কাছেই বেড়ে ওঠেছেন তিনি। বড় হয়ে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। তার সংসারে রয়েছে ছয় বছরের ছেলে ও ছয়মাসের গর্ভবতী স্ত্রী। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সম্প্রতি বন্যায় মিনুর বসতভিটায় পানি প্রবেশ করে। এছাড়া বাঁধ ভেঙে স্থানীয় সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। সে কারণে মাছ ধরে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে টাকা ধার করে জাল কিনতে কালিহাতীর সয়া হাটে যান তিনি। আর সেখানেই ছেলে ধরা সন্দেহে সরল মিনুকে অমানবিক গণপিটুনির শিকার হতে হয়।

পরে নির্যাতনকারীরা মৃত ভেবে ফেলে গেলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৯ দিন পর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ১০টার দিকে মারা যান হতভাগা মিনু মিয়া।

এমআই