দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, ময়মনসিংহ শহতলীর শম্ভুগঞ্জ ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষকসহ তিন যুবক নিহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে শহরতলীর শম্ভুগঞ্জের চরপুলিয়ামারী ও রাত আড়াইটায় ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পার্টিরা কালাহদহ ঈদগাহ মাঠ এলাকা এবং রাত ৩টার দিকে চুনারুঘাটে ডেওয়াতলী কালিনগর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাগুলো ঘটে।

নিহতরা হলেন- জনি মিয়া (২৬) ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম এলাকার বাসিন্দা মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে, জহিরুল ইসলাম (২০) ফুলবাড়িয়া উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের ছেলে ও সোলেমান মিয়া (৩০) মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকার বাসিন্দা।

ময়মনসিংহ: শহতলীর শম্ভুগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি’র সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী জনি মিয়া (২৬) ও গণধর্ষণ মামলার আসামি ধর্ষক জহিরুল ইসলাম নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।

পুলিশের দবি, নিহত জনি মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদক ও ছিনতাইসহ প্রায় ১১টিরও অধীক মামলা রয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. শাহ কামাল আকন্দ জানান, ডিবি পুলিশের একটি টিম মধ্যরাতে গোপন সূত্রে সংবাদ পায় শহরতলীর শম্ভুগঞ্জের চরপুলিয়ামারী এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী অবস্থান করছে।

এর ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ তাদের আটক করার চেষ্টা করলে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি ও ঢিল মারতে থাকে।

পরে পুলিশ শর্টগানের ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। এ সময় পলাতক মাদক ব্যবসায়ীদের ছোড়া গুলিতে মো. জনি মিয়া নামে অন্য এক মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী গুলিবিদ্ধ হয়।

তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ শত গ্রাম হেরোইন, একটি স্টিলের চাকু ও শর্টগানের ১৪ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই যুবকের বিরুদ্ধে তিনটি মাদক মামলাসহ ১১ টিরও অধিক মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

অন্যদিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি জহিরুল ইসলাম ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

গত ৩ আগস্ট রাত ৮দিকে উপজেলার পলাশতলী এলাকায় ১৬ বছরের এক কিশোরীকে গনধর্ষণ করে তিন যুবক। পরে এ ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়।

ওসি মো. শাহ কামাল আকন্দ আরও জানান, মামলা হওয়ার পর সোমবার মধ্যরাত আড়াইটার দিকে গ্রেফতার অভিযান চলাকালে গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার পার্টিরা কালাদহ ঈদগাহ মাঠের সামনে যায় ডিবি পুলিশ।

তখন ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে শটগানের গুলি বের করলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এসময় জহিরুল নামে এক আসামিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহিরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

হবিগঞ্জ: চুনারুঘাট উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সোলেমান মিয়া।

পুলিশের দাবি, নিহত সোলেমান ডাকাত দলের সদস্য। এ সময় ডাকাতদের হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের ডেওয়াতলী কালিনগর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

চুনারুঘাট থানার ওসি মো. নাজমুল হক জানান, রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত ডেওয়াতলী কালিনগর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়।

পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে সোলেমান গুলিবিদ্ধ হয়।

এ সময় তার অন্য সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। সোলেমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আহত চার পুলিশ সদস্যকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এমজে/