ঈদে আরও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ

ঈদে আরও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ

বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মারাও গেছেন।

এদিকে, ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। ঈদ উপলক্ষে ইতোমধ্যেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিতে শুরু করেছেন অনেকে।

এমন পরিস্থিতিতে ঈদে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক ও গবেষকরা। তারা বলছেন, ঢাকাসহ বড় শহর ছেড়ে যে ডেঙ্গুরোগীরা যাবেন তারা যেমন ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে নিয়ে যাবেন, সেই সঙ্গে নিজ এলাকায় গিয়েও নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন।
এজন্য সারাদেশের হাসপাতালে ঈদে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন বলেও তারা মনে করেন।

শেষ কবে পুরো বাংলাদেশে কোনও রোগ এভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল সেটা মনে করতে বেশ বেগে পেতে হচ্ছে। এতোদিন ঢাকার অসুখ হিসেবেই পরিচিত ছিল ডেঙ্গু। কিন্তু এই মৌসুমে সেই ভৌগলিক সীমারেখা ভেঙে গেছে। এই মুহূর্তে দেশের সবকটি জেলায় ডেঙ্গু রোগী আছে। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে এই সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখনও ঢাকাতেই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কয়েকদিন বাদেই কোরবানির ঈদ। প্রচুর মানুষ রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলো থেকে জেলা-উপজেলায় যাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকেই হয় ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে যাবেন, আবার নিজ এলাকায় গিয়েও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থেকে যাবে। এতে করে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক ও গবেষকরা।

এরইমধ্যে স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সবার ছুটি বাতিল করেছে সরকার। এরপরও ঈদকে ঘিরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সব সরকারি হাসপাতালে বিশেষ প্রস্তুতি রাখার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, ঈদ মৌসুমে আন্তঃজেলা বাস, ট্রেন, লঞ্চগুলো যেমন মশামুক্ত করতে হবে, সেই সঙ্গে টার্মিনাল, স্টেশনগুলোতেও মশা নিধন কর্মসূচি জোরদার করারও তাগিদ দিয়েছেন তারা।

এমজে/