আড়াই মেট্রিক টন ‘ভায়াগ্রার’ চালান আটক

আড়াই মেট্রিক টন ‘ভায়াগ্রার’ চালান আটক

যশোরের বেনাপোল বন্দরে অবৈধভাবে ভারত থেকে আমদানিকৃত আড়াই মেট্রিক টন‘ভায়াগ্রার’ চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করা এই চালানই দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহত চালান বলে মনে করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এরআগে গত এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো ২০০ কেজির ভায়াগ্রার চালান আটক করেছিল বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিষয়টি গত ২৪ জুলাই দুপুরে বেনাপোল কাস্টমস ক্লাবে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

কাস্টমস সূত্র জানায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রেড গ্রীন ইন্টারন্যাশনাল ভারত থেকে ৫০০ কেজি ফ্লেভার আমদানি করে, যার এলসি নম্বর-২৯৬৬১৯০১০০৩৬। গত ১৬ এপ্রিল পণ্যের চালানটির রাজস্ব পরিশোধ করে বন্দর থেকে খালাস নেওয়ার সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানটি আটক করে। পণ্যটির চালানের মধ্যে ছিল ফ্লেভার ৫০০ কেজি, সাদা পাউডার ২০০ কেজি, সিরিঞ্জ ১ লাখ ৯৪ হাজার পিস,ইমিটেশন জুয়েলারি ১১০.৭৭ কেজি, শাড়ি ৩০৩ পিস, ওড়না ১৪ পিস, কামিজ ১০ পিস, সালোয়ার ৯ পিস, থ্রী-পিস ৩৮ পিস, শার্ট ১৯ পিস ও প্যান্ট ১২২ পিস। পরে সতর্কতার সাথে কাস্টমস হাউসের নিজস্ব ল্যাবে ‘রমন স্পেক্ট্রোমিটারের’ মাধ্যমে পরীক্ষা করে চালানটির মধ্যে ২০০ কেজি ভায়াগ্রা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল,পরবর্তীতে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর পণ্য বিবেচনায় পণ্যের নমুনা খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পাঠানো হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর কুয়েট পরীক্ষা করে পণ্যটিকে ৯৮ শতাংশ ভায়াগ্রা বলে রিপোর্ট প্রদান করেন। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পরেই মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

আগের অভিজ্ঞতা থেকে এবার আড়াই মেট্রিক টন‘ভায়াগ্রার’শনাক্ত করণে আর বেশি সময় নষ্ট হয়নি।

এমজে/