খুলনা জিআরপি থানা হাজতে নারী নির্যাতন ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার ৬ দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার জিআরপি থানায় দায়ের করা হয় মামলাটি। ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেছেন।
পাকশি থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফিরোজ আহমেদ এ মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করছেন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে এবং জেল গেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম নিজেই এ মামলার বাদী।
মামলায় জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), ঘটনার রাতের ডিউটি অফিসার এবং অজ্ঞাত আরো তিন পুলিশকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী অফিসার পাকশি এসপি অফিস থেকে নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, নির্যাতন হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩ এর ১৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর- ৩। তারিখ ০৯.০৮.১৯. খুলনা জিআরপি থানা।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃহধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরদিন তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেপ্তাতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়।
৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে বিচারককে ওই নারী জানান, জিআরপি থানায় নির্যাতন ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
এমআই