২৪ ঘণ্টায় দেড়গুণ বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী

২৪ ঘণ্টায় দেড়গুণ বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী

ডেঙ্গুর ভয়ঙ্কর প্রকোপ এখনো অব্যাহত। ডেঙ্গু রোগীতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ছেয়ে গেছে। অতিরিক্ত সিটের (শয্যা) ব্যবস্থা করেও শয্যা সংকুলান হচ্ছে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কেউ কেউ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাসাবাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসা করাচ্ছেন।

ঈদের ছুটির তিন দিনে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে আসছিল। কিন্তু এই ভর্তির সংখ্যা আগের ২৪ ঘণ্টার (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তুলনায় দেড়গুণ বেড়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ১৮৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

পাশাপাশি দীর্ঘ হচ্ছে মৃতের তালিকাও। গত চারদিনে (বুধবার পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চলতি মাসে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫৭। যদিও সরকারি হিসাবে এ সংখ্যা গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ৪০ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রকাশিত ডেঙ্গু সংক্রান্ত বুলেটিন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আর গত ৭ দিন ধরে রাজধানীর বাইরে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১ হাজার ৮৮০ রোগী ভর্তির পর এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৬৯জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ আগস্ট পর্য ৪৬ হাজার ৩৫১জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৮ হাজার ৪৪২জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। তবে বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ডেঙ্গু আক্রান্তের এ সংখ্যা আরও অনেক বেশী।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি হিসাবে প্রকাশিত ডেঙ্গু রোগীর চেয়ে বাস্তবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ প্রায় প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক রোগী হাসপাতালে শয্যা (সিট) না পেয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। বাসায় অবস্থান করেই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন ডেঙ্গু রোগীরা।

এ ছাড়া প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। এসব কারণেই সরকারি ও বেসরকারি হিসাবে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় অনেক তারতম্য থাকছে।

বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রকাশিত ডেঙ্গু সংক্রান্ত বুলেটিন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঈদের আগের দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা গত চার দিনে উঠানামা করে। এরমধ্যে ১১ আগস্ট ২ হাজার ৩৩৪জন নতুন রোগী ভর্তি হয় ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে। ঈদের এই সংখ্যা প্রায় আড়াই কমে গিয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৩ জনে। পরদিন ১৩ আগস্ট ১ হাজার ২০০ রোগী ভর্তি হয়েছে। কিন্তু বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা দেড়গুণ বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৮৮০ জনে।