যে কারণে দরপতন চামড়ার বাজারে

যে কারণে দরপতন চামড়ার বাজারে

এবার ঈদে কোরবানির পশুর চামড়ার ভয়াবহ দরপতন ঘটেছে। ৩ বছর আগে এ দরপতনের ধারা শুরু হয়। ঈদে চামড়ার দামে এমন ধস নিকটঅতীতে দেখা যায়নি। এবার চামড়ার দাম স্মরণকালের মধ্যে সর্বনিম্ন।

লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪শ টাকায়, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে চার থেকে পাঁচগুণ কম। এ চিত্র রাজধানীসহ সারাদেশের। গরু বা মহিষের চামড়ার দাম সামান্য মিললেও ছাগলের চামড়ার ক্রেতাই ছিল না বলা চলে। দাম না পেয়ে দেশের কোনো কোনো এলাকায় চামড়া মাটিতে পুতে ফেলার খবর পাওয়া গেছে।

ময়লা-আবর্জনার স্তূপেও ফেলে দেওয়া হয়েছে। চামড়ার দাম না পেয়ে চামড়া কিনে রাস্তায় ফেলেই চলে গেছে অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। চামড়ার এ চিত্র এবারই প্রথম দেখা গেল বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

প্রতিবছরই কোরবানির চামড়া বা চামড়া বিক্রির টাকা এতিমখানা, মাদ্রাসা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীই পেয়ে থাকে। এ সময় মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরাও আয় করে থাকেন। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। চামড়ার টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এতিমখানা, মাদ্রাসা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের গুনতে হয়েছে লোকসান। চামড়ার দরে এবারের কোরবানি ঈদে কেন এমন ভয়াবহ দরপতন, তা নিয়ে প্রায় সব পক্ষই চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন।

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দামে ধস নামিয়েছে। তারা বলছেন, কম দামে চামড়া কিনে পুরো লাভটাই যাচ্ছে চামড়ার আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের পকেটে। তবে ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা এর জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।

ট্যানারি মালিকরা বলছেন, আড়তদাররা নিজেরাই সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছে। এতে তারাই লাভবান হচ্ছেন। আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা গতবারের চামড়ার দাম পরিশোধ না করায় এবার বেশিরভাগ আড়তদার বা ব্যবসায়ী চামড়া কেনা থেকে বিরত ছিলেন। ফলে চামড়ার দামে ধস নামে।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে আমাদের সাড়ে ৪শ কোটি টাকা পাওনা। কিন্তু তারা সেই টাকা পরিশোধ করেনি। ফলে টাকার অভাবে আমরা চামড়া কিনতে পারিনি। কাঁচা চামড়ার পাশাপাশি ওয়েট ব্লু রপ্তানিরও সুযোগ করে দেওয়া উচিত সরকারের। তাতে কিছুটা হলেও ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে পাওনা টাকা পাব।

চামড়ার দাম স্মরণকালের মধ্যে কেন সর্বনিম্ন, তার বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রয়েছে নগদ টাকার সংকট, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরের ফলে ট্যানারি মালিকরা কাক্সিক্ষত ঋণ না পাওয়া, বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাওয়া, সিনথেটিক পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাওয়া, ট্যানারি মালিকদের বাকিতে চামড়া কেনা, চীন থেকে কম দামে চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ।

এদিকে চামড়ার দামে ধস ঠেকাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। চামড়া নিয়ে কারসাজির অভিযোগের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শনিবার থেকে কাঁচা চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বুধবার সকালে সংগঠনটি জানায়, তারা ২০ আগস্ট থেকে কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করবে। বিকালে তারা বলে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে তারা ১৭ আগস্ট থেকেই কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করবে। তাতে কী লোকসান গোনা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন? এতিমখানা, মাদ্রাসা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর যারা চামড়ার টাকায় উপকৃত হতেন, তারা কি উপকৃত হবেন? এসব প্রশ্নের কোনো জবাব মিলছে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বুধবার বলেছেন, কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম কমার পেছনে ‘সিন্ডিকেটের কারসাজি’ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, তদন্তে যদি ধরা পড়ে যে চামড়ার দাম কমে যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করেছে, তা হলে যে ব্যক্তি যে মাত্রায় এ শিল্পের ক্ষতি করেছে, তার বিরুদ্ধে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার অজুহাতে একটি সিন্ডিকেট বেশ কয়েক বছর ধরে চামড়া নিয়ে কারসাজি করছে। এ সিন্ডিকেটের হোতা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের একজন নেতা। যার কারণে চামড়া নিয়ে তাদের অনাচার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, এ চক্রের স্বার্থরক্ষা করছে নিশুতি সরকার।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করে মানুষ যে দাম পাচ্ছে, সেটা যৌক্তিক নয়। মানুষ যেন চামড়ার ন্যায্য দাম পায়, তা নিশ্চিত করতেই রপ্তানির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কাঁচা চামড়ার পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, রপ্তানির সুযোগ হলে আর ট্যানারিগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। অবশ্য চামড়াজাত পণ্য, পাদুকাশিল্প ও প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঁচা চামড়া রপ্তানি হলে দেশে এসব শিল্পের কাঁচামালের সহজলভ্যতা কমে যাবে, তাতে হুমকির মুখে পড়বে পুরো চামড়াশিল্প।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত সরকারের আগে থেকেই প্ল্যান করে নেওয়া উচিত ছিল। তা হলে প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও পুঁজি ফিরে পেত। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গরিবের হক নষ্ট হয়েছে। গরিব বঞ্চিত হয়েছে। গতকাল আমাদের সময়ের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একদিকে চামড়ার উৎপাদন বেড়েছে, অন্যদিকে চাহিদা কমেছে। ফলে দাম পড়বে এটিই স্বাভাবিক। তবে এ দাম যেন না পড়ে, সেদিকে সরকারকে আগেই সজাগ থাকার দরকার ছিল। তিনি বলেন, কালকে সরকার রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি প্রোসেস করে পাঠাতে তো সময় লাগে। এ সময়ের মধ্যে চামড়া পচে যেতে পারে। এবারে চামড়ার চাহিদা কম আছে। এর কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীদের অনেকেই ঋণখেলাপি হয়েছেন। এ কারণে ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে না। রপ্তানির সিদ্ধান্তে অ্যাডভান্স প্ল্যানিং থাকা দরকার ছিল। এ কারণে এমন পরিস্থিতির জন্ম। আগে থেকে প্ল্যানিং থাকলে রপ্তানির লাইনআপটা করা যেত। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চামড়া ব্যবসায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করার দরকার ছিল। শুধু দাম ঘোষণা করলেই হয় না। যদি এটি চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য না হয় সার্বিক অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না, কিছুটা অবশ্যই পড়বে। তবে যারা এ টাকা পাওয়ার হক, তারা বঞ্চিত হয়েছে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর বলেন, চামড়ার চাহিদা ও জোগান কত বিষয়টি মাথায় রেখে আগে থেকেই সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। কারণ গতবারের বেশকিছু চামড়া এখনো ট্যানারিতে পড়ে আছে। সুতরাং চাহিদার দিক থেকেও একটি ঘাটতি রয়ে গেছে। সেটি একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি করেছে। দাম এতটা পড়ে যাওয়ার যদি আশঙ্কা থাকে, তা হলে সরকার এখন যে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আগে থেকেই নেওয়ার দরকার ছিল। এ ছাড়া দাম নির্ধারণের সময়ও চামড়ার চাহিদা ও কত বিক্রি হতে পারে, এ নিয়ে দরকার ছিল আগে থেকে চিন্তা করা। তিনি আরও বলেন, চামড়াজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি দুটিই কমেছে। তাই সরকার যে নির্ধারিত মূল্য বেঁধে দিয়েছে, ওই দাম ট্যানারি মালিকরা দেবে বলে মনে হয় না। সব মিলিয়ে পুরো খাতেই অস্থিরতা চলছে। এসব কারণে যারা এর সুবিধাভোগী, তারা সুবিধাটা নিতে পারল না বলেও মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশে সারাবছর যে পরিমাণ পশু জবাই হয়, তার অর্ধেক হয় এই কোরবানির ঈদে। সরকারি হিসাবে এবারেও প্রায় সোয়া কোটি পশু জবাই করা হয়েছে। যারা কোরবানি দেন তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে। পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে।

এ সময়ই সবচেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহ করেন ট্যানারি মালিকরা। কত দামে তারা সেই চামড়া কিনবেন, তা ঈদের আগে ঠিক করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ঈদের দিন বিকাল থেকেই চামড়ার দাম পড়ে যাওয়ার খবর আসতে থাকে। ঈদের দিন চামড়ার আড়তগুলোয় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় গরুর প্রতিটি ছোট চামড়ার দাম ৩শ থেকে ৪শ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতিটি চামড়া ৪শ থেকে ৫শ টাকা এবং বড় চামড়া ৭শ থেকে ৯শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ দাম গত বছরের তুলনায় অর্ধেক। ঈদের পরের দিন এ দাম আরো পড়ে যায়। অনেকে পোস্তায় চামড়া বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলেই চলে যান। এতে পড়ে থাকা চামড়া পচে নষ্ট হতে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীরা বেশি বিপাকে পড়েন। ঢাকার বাইরে থেকে আনা প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তবে আড়তের বাইরে সর্বোচ্চ ৪শ টাকার ওপরে কোনো চামড়া ঢাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়নি। ঢাকার বাইরে অনেক জেলাতেই চামড়ার ক্রেতা পাওয়ায় ছিল দুষ্কর।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাঁচা চামড়ার বড় আড়ত পোস্তার পার্শ্ববর্তী চুরিহাট্টা মসজিদের কোনায় ময়লার স্তূপে ১০ থেকে ১২টি ছাগলের চামড়া পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাসুদুর রহমান নামে স্থানীয় এক দোকানদার জানান, ছাগলের চামড়া কেউ নিচ্ছে না, তাই এখানে ফেলে গেছে স্থানীয়রা। প্রতিবছরই কোরবানির পশুর চামড়ার পাশাপাশি মাথার চামড়াও বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এবার গরু, মহিষের মাথার চামড়া কেউ নেয়নি। ঢাকার অনেক এলাকা ঘুরে ডাস্টবিনে ছাগলের চামড়া ও গরুর মাথার চামড়া পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

গতকাল দুপুরে লালবাগের পোস্তায় গিয়ে দেখা যায়, আড়তদার অপু মিয়া চামড়া আড়ত থেকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে পাওনা টাকা না পাওয়ায় চামড়ায় পর্যাপ্ত লবণ দিতে পারেননি। এ ছাড়া শ্রমিকদের টাকা দিতে না পারায় তারাও কাজে যোগ দেননি। ফলে চামড়া আড়তেই পচন ধরে। তার প্রায় ৮শ চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি।

হাজারীবাগের এনায়েতগঞ্জের বাসিন্দা সোহেল মিয়া জানান, ৮৪ হাজার টাকার একটি গরুর চামড়া ৩শ টাকা সর্বোচ্চ দাম ওঠে। তাই ওই চামড়া বিক্রি না করে পার্শ্ববর্তী এতিমখানায় দিয়ে দেন। অথচ এ চামড়া গত বছর ৮শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া ভূইয়াপাড়া মাদ্রাসার সভাপতি আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, আমরা বিগত বছরগুলোয় পশুর চামড়া ৩২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। এ বছর অন্তত ৮শ থেকে এক হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব এমন একটি ধারণা ছিল। কিন্তু এ বছর এমন হবে ভাবতে পারিনি।

তিনি বলেন, সব চামড়া মাদ্রাসায় ফ্রি আসে বিষয়টি এমন নয়। আমরা পশুর মালিকদের মাদ্রাসা থেকে একটি ন্যূনতম দাম পরিশোধ করে তবে নিয়ে আসি। চামড়া বিক্রি করে যে লাভ হয়, সেটা মাদ্রাসার কল্যাণে ছাত্রদের খাওয়া খরচ বা উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। তিনি বলেন, এ বছর অর্ধেকের মতো চামাড়া খুবই কম দামে অনুরোধ করে বিক্রি করতে পেরেছি। আর বেশ কিছু চামড়া ফেলে দিতে হয়েছে।

এমআই