চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতন চ্যালেঞ্জ করে রিট

চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতন চ্যালেঞ্জ করে রিট

কোরবানির পশুর চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতনের তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।

রবিবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহিউদ্দিন ফরহাদ হানিফ এ রিট করেন।

রিটে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্যের অস্বাভাবিক দরপতন কেন অবৈধ হবে না-মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া চামড়ার দরপতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতেও বলা হয়েছে।

কিন্তু আইনজীবী হানিফের রিটটি শুনানির জন্য অপরাগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ। একটি বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুলের বেঞ্চ। অপরটি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতনের তদন্ত চেয়ে রিট করা আবেদনটি হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চে শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। কিন্তু দুটি বেঞ্চ-ই শুনাতিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তবে দুপুর ২টার পর আরো একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য উত্থাপন করা হবে রিটটি। ’

হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী এ আইনজীবী।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ কমে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে।

ফলে চাহিদা অনুযায়ী দাম না পেয়ে অনেকেই চামড়া মাটিতে পুঁতে রাখে এবং কেউ রাস্তায় কেউবা নদীতে ফেলে দেয়। আর এটি নিয়ে সারা দেশে তুমুল আলোচনা চলছে।

এমআই