সন্ধ্যায় বাবার কিনে দেয়া মোটর সাইকেলে সকালে গেল ছেলের প্রাণ

সন্ধ্যায় বাবার কিনে দেয়া মোটর সাইকেলে সকালে গেল ছেলের প্রাণ

প্রবাস থেকে দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেছেন প্রিয় বাবা। বাবাকে কাছে পেয়ে মোটর সাইকেল কেনার আবদার করে ছেলে। নাম ইব্রাহীম। ঠিকমত মোটর সাইকেল চালাতে না পারলেও ছেলের আবদার রক্ষায় শনিবার বিকালে টিভিএস শোরুম থেকে তাকে কিনে দেয়া হয় একটি নতুন টিভিএস মোটর সাইকেল।

রবিবার ভোরে নতুন মোটর সাইকেলটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় কলেজ ছাত্র ইব্রাহীম। পরে বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ড্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সে।

নিহত কলেজ ছাত্র ইব্রাহীম লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজার ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার সৌদি প্রবাসী আবুল খায়েরের ছেলে। রবিবার সকালে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ড জেবি রোডে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহীমের লাশ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত ইব্রাহীমের মামা আবদুর রাজ্জাক জানান, প্রবাস ফেরত বাবার কাছে কলেজে পড়ুয়া ছেলে ইব্রাহীম মোটর সাইকেলের আবদার করে। ঠিকমত গাড়ি চালাতে না পারলেও ছেলের আবদার রক্ষায় শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার টিভিএস শোরুম থেকে ইব্রাহীমকে একটি নতুন টিভিএস মোটর সাইকেল কিনে দেয়া হয়। এরপর রাত পার হতেই রোববার ভোরে মোটর সাইকেলটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় ইব্রাহীম। পরে বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ড্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সে। এ ঘটনায় নিহত ইব্রাহীমের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান মিয়া জানান, নিহত কলেজ ছাত্র ইব্রাহীম অদক্ষ চালক ছিল। তাছাড়া হেলমেট ছাড়াই বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে মারা যায় সে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে পরিবারের কাছে নিহত ইব্রাহীমের লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অসচেতনতাকে দায়ী করেন তিনি।

এমআই