কিশোরগঞ্জে কোচিং থেকে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ হাসপাতালে

কিশোরগঞ্জে কোচিং থেকে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ হাসপাতালে

কিশোরগঞ্জে কোচিংয়ে গিয়ে নিখোঁজ আশা নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর লাশ মিললো হাসপাতালে।

সোমবার রাতে জেলার হোসেনপুর হাসপাতালে আশার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় হোসেনপুর থানা পুলিশ ডালিম (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে।

নিহত আশা পাকুন্দিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে গুলিবাড়ি গ্রামের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে।

পরিবার, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে কোচিংয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় আশাসহ পাকুন্দিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে অন্য দুই শিক্ষার্থী সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে আসলেও হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে লাশ মিলে আশার।

তবে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রারে তাকে দুর্ঘটনার রোগী দেখানো হয়। কিন্তু তার শরীরে দুর্ঘটনাজনিত আঘাতের কোনো চিহ্ন দৃশ্যমান ছিল না বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান।

তার মতে, ইন্টারনাল হেমারেজ জনিত কারণে কিশোরীটির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এ সময় তিনি জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসা যুবক বলছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

হোসেনপুর থানার ওসি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনাটিকে সন্দেহজনক মনে হলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা পাকুন্দিয়া উপজেলার গুলিবাড়ি গ্রামের আজিমউদ্দিনের ছেলে ডালিম (২৪) কে আটক করা হয়।

আটকের পর ডালিম জানিয়েছে ওই কিশোরীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়ানোর সময় খুর্শিদখু মহল সেতুর ওপারে ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দত্ত বাজার এলাকায় কিশোরীটি হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়।

পরে তাকে হোসেনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য সে নিয়ে আসে। ঘটনাস্থল পাগলা থানা এলাকায় হওয়ায় পাগলা থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে। মামলাসহ অন্যান্য যা করার তা পাগলা থানা পুলিশ করবে।

অপরদিকে হোসেনপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আশার লাশের পাশে অবস্থানরত তার খালাতো বোন আকলিমা খাতুন ও ফুফাতো ভাই আলমের দাবি, নির্যাতনের পর আশাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ সময় তারা আরও জানান, তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন খুরশিদ মহল সেতু এলাকায় অনেকেই দেখেছেন ডালিম ও অন্য এক যুবক আশাকে মাঝখানে বসিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে কোথাও নিয়ে যেতে।

যদি এটি দুর্ঘটনাই হতো তাহলে ওরা কোনো আঘাত পায়নি কেন এবং মোটরসাইকেলই অক্ষত থাকে কিভাবে? তারা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এমজে/