১৩ই অক্টোবর ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদনের শুনানি

১৩ই অক্টোবর ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদনের শুনানি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদনের ওপর আগামী ১৩ই অক্টোবর শুনানি হবে। মঙ্গলবার বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ ও রানা কাওসার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সরওয়ার হোসেন বাপ্পী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহানা পারভীন। মূল মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

মোয়াজ্জেমের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আদালতকে বলেন, উনি (ওসি মোয়াজ্জেম) একজন ভদ্র লোক। তিনি তো কোনো অন্যায় করেনি। তিনি কী করেছেন, তিনি নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেছেন। নুসরাতকে তো তিনি খারাপ কিছুও বলেননি।

তিনি যেসব কথা ভাল মতো শুনতে পারেননি। সেসব কথা পুনরায় জানতে চেয়েছেন। তিনি এই ভিডিও করেছেন এই জন্য, পুলিশের কাজই হচ্ছে তথ্য জাচাই বাছাই করা। অনেকের চাপে তিনি পরে অস্বীকার করতে পারেন। এছাড়া সাংবাদিকদের প্রেশার তো আছেই। তারা কোনো একটা বিষয়ে যেভাবে জেরা করে, ডুকুমেন্ট না থাকলে...। এরপর আদালত বলেন, ভিডিওটা ইন্টারনেটে গেলো কিভাবে? তখন আইনজীবী বলেন, তদন্তে এসেছে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে ইন্টারেনেট আপলোড হয়েছে।

তখন আদালত বলেন, তিনি পেলেন কি করে? এরপর আইনজীবী বলেন, উনি (ওসি মোয়াজ্জেম) মোবাইলটা রেখে ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন। তখন হয়তো তার মোবাইল থেকে কোনোভাবে ট্রান্সফার হয়েছে।

পরে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন আদালতকে বলেন, বিজ্ঞ আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী ওসি মোয়াজ্জেম ২০ বছর ধরে ওসির দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তিনি তার বিজ্ঞতার পরিচয় দেননি। তিনি সারেন্ডার না করে এক মাস পরে হাইকোর্টে জামিন নিতে আসেন। তিনি কেন সারেন্ডার করেনি। এছাড়া, উনার যে প্রভাব প্রতিপত্তি, তাতে উনি এই মামলায় জামিন পেলে মামলার ওপরে প্রভাব পড়তে পারে। আমি যেদিন মামলা করব, সেদিন এই খবর শুনে তিনি জিডি করলেন।

শুনানির পর সাংবাদিকদের আইনজীবী আহসান উল্লাহ বলেন, ওসি মোয়াজ্জেমের ভিডিওর কারণে মাদরাসা অধ্যক্ষের কুকর্মের বিষয়টি দেশবাসী জানতে পেরেছে। তাকেতো পুরস্কৃত করা উচিত। এমনকি সাংবাদিক সজলও যে কাজটি করেছে, ভাল কাজ করেছে। যদি ভিডিওটি খারাপই হতো তাহলে কেন সুমন সাহেব ভিডিওটি তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করলেন না? ভিডিওটি তো এখনো ইন্টারনেটে আছে।

গত ১৭ ই জুলাই সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই মামলায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এই মামলায় দ্বিতীয় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১লা সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে গত ৯ই জুলাই বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্থাপিত হয়নি মর্মে মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়।