যেভাবে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ নেয়া হয়, দেখুন ভিডিওতে

যেভাবে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ নেয়া হয়, দেখুন ভিডিওতে

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাব-রেজিস্ট্রার ও তার কার্যালয়ের কিছু কর্মচারীর ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এরপরই এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মঞ্জুরুল ইসলাম। তদন্ত শুরুর পর থেকে সাব-রেজিস্ট্রারসহ অন্যরা ভিডিও প্রচারকারীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শাহজাদপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি সোহেল রানা গত ১৫ আগস্ট তার ফেসবুক পেজে সাব-রেজিস্ট্রারসহ তার কার্যালয়ের কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্যের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস ও নকল নবিশ সুমনসহ বেশ কয়েকজন অসাধু ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারীকে দলিল গ্রহীতাদের কাছ থেকে সরাসরি ঘুষ নিতে দেখা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, শাহজাদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল গ্রহীতাদের কৌশলে প্যাঁচে ফেলে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। ভুক্তভোগীরা প্রায়ই জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনও প্রতিকার পাননি।

এ বিষয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘শাহজাদপুরবাসী ভবিষ্যতে যেন ঘুষ বাণিজ্যের শিকার না হন, সেজন্য ভিডিওটি ফেসবুকে দিয়েছি। এটি ফেসবুকে দেওয়ার পর থেকে আমাকে ভয়ভীতি ও মামলার ভয় দেখাচ্ছেন সাব-রেজিস্ট্রার।’

সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘সোহেল রানা নিজেই একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও প্রতারণার ১০/১২টি মামলা রয়েছে বলে শুনেছি। আমার অফিসে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও সুবিধা না পেয়ে এ ধরনের ভিডিও প্রচার করেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা আইসিটি অ্যাক্টে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘অতীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ থাকলেও, সে অবস্থা এখন আর নেই। আমি আসার পর প্রায় ৩০ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব জমা হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে জেলা রেজিস্ট্রার নিজেই তদন্ত করছেন। শুনেছি আগামীতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকেও তদন্ত হবে। ভিডিওতে টাকা গ্রহণের ছবি দেখানো হলেও কারা, কীজন্য টাকা দিচ্ছেন, সেটিও পরিষ্কার নয়।’

এ প্রসঙ্গে জেলা রেজিস্ট্রার বলেন, ‘ভিডিও আমাদের নজরে আসার পর সুষ্ঠু তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।’

দেখুন ভিডিওটি

এমআই