রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৪১ এনজিওকে প্রত্যাহার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৪১ এনজিওকে প্রত্যাহার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অপকর্মে লিপ্ত থাকায় তালিকাভুক্ত ৪১টি এনজিওকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শনিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পর ১৩৯টি এনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল। এদের মধ্যে অপকর্মে লিপ্ত থাকায় তালিকা করে ৪১টি এনজিওকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরো কিছু এনজিও একই কাজ করছে বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি এনজিও নানাভাবে তদবির করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী তিন মাসে মিয়ানমারে সেনা নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেয় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা নারী গর্ভবতী অবস্থায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে ১৯৬৮ সাল থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রয়েছে আরও অন্তত চার লাখ রোহিঙ্গা। নতুন করে অনুপ্রবেশের পর গত ২০ মাসে এখানে জন্ম নিয়েছে আরও প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শিশু। জানা গেছে, ক্যাম্পগুলোতে প্রতিদিন গড়ে জন্ম নিচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ শিশু। বর্তমানে নিবন্ধনের আওতায় এসেছে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৪১৭ জন রোহিঙ্গা।

এদিকে অভিযোগ উঠে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফেরত না যাওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছে কিছু এনজিও। আর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরাও এসব অভিযোগ তুলছেন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার বড় ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সিটি মেয়র আরিফুল হকে চৌধুরী। এ দুইজন যদি না হতেন এটা হতো না, এ জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও সিলেট জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এমআই