পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে গোলাগুলি, ৪ সেনা নিহত

পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে গোলাগুলি, ৪ সেনা নিহত

কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাকিস্তানের ৩ সেনা ও ভারতের ১ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন জানায়, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে মর্টার ছুড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় রবিবার ভারতীয় এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, পাক বাহিনীর হামলার জবাবে পুঞ্চে পাল্টা হামলা চালায় তারা। ভারতীয় সেনাদের গুলিতে ৩ পাকিস্তানি তিন সেনা নিহত হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাদের ৪টি ঘাঁটিও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানায় তারা।

এর আগে সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙ্কার খনন করছে অভিযোগ তুলেছিল ভারত।

সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বালতোরো সেক্টরের স্কারদু এলাকায় বেশ কয়েকটি নতুন বাঙ্কার তৈরি করছে পাকিস্তান। আজাদ কাশ্মীরের ওই এলাকাটি কার্গিলের বিপরীত পাশেই অবস্থিত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০ বছর আগে ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তান যেভাবে সীমান্তে বাঙ্কার তৈরি করেছিল, এখনও ঠিক সেভাবে নির্মিত হচ্ছে বাঙ্কারগুলো।

ইতিমধ্যে ছয়টি বাঙ্কার প্রস্তুত হয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী খবর পেয়েছে। সীমান্ত রেখা ঘেঁষে ১০ থেকে ১২ ফুট এবং কোথাও ২০ থেকে ২২ ফুট উঁচু আরো কয়েকটি বাঙ্কার নির্মিত হচ্ছে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ধারণা, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি)-এর কমান্ডোদের জন্য ব্যবহৃত হবে এ সব বাঙ্কার। তাছাড়া ওই এলাকায় সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো কিংবা অস্ত্র মজুদের জন্য পাকিস্তান এ বাঙ্কারগুলো নির্মাণ করছে।

ভারত চলতি মাসের ৫ আগস্ট দেশটির সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়। ওই অঞ্চলটিকে দুটি রাজ্যে বিভক্ত করেছে। এরপর থেকে কার্যত জম্মু-কাশ্মীর ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে উপত্যকাটিতে ৫০ হাজারের বেশি সেনা ও কর্মকর্তা মোতায়েন করে ভারত। হিমালয় ঘেরা অঞ্চলটিতে কারফিউ জারি করে। আটক করা হয় মুসলিম নেতাদের।

এমআই