যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ভারতের চান্দ্র জয়ের অভিযান ভণ্ডুল!

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ভারতের চান্দ্র জয়ের অভিযান ভণ্ডুল!

ভারতের চন্দ্র অভিযানের স্বপ্ন কার্যত ভাঙার মুখে। চাঁদের একেবারে কাছে গিয়ে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে চান্দ্রযান বিক্রমের। শুক্রবার দিবাগত রাতে ফাইন ব্রেকিং পর্ব শুরু হতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

পরে ইসরো প্রধানকে সিভান জানিয়েছেন, চন্দ্রপৃষ্টের ২.১ কিমি আগে থেকে চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এদিন পূর্ব পরিকল্পনা মতো রাত ১:৩৮ মিনিটে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করে বিক্রম। হার্ড ব্রেকিং সামলে ফাইন ব্রেকিং পর্ব শুরু হতেই ছন্দপতন ধরা পড়ে ইসরোর দপ্তরের জায়ান্ট স্ক্রিনে। থেমে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের ক্রমবর্ধমান গতি। সেই সময় বেঙ্গালুরুতে ইসরোর দপ্তরে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইসরো প্রধান তাকে গিয়ে বিষয়টি জানানোর পর নিচে নেমে আসেন তিনি। পরে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সাহস যোগান।

তবে এখনই আশা ছাড়ছেন না বিজ্ঞানীরা। কারণ, ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও তা হয়তো ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে নেমে পড়েছে। কিন্তু, তা সফল না ক্র্যাশ ল্যান্ডিং তা জানতে উদগ্রীব বিজ্ঞানীরা। যত শিগগিরই সম্ভব যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

গত ৬০ বছরে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে রাশিয়া, আমেরিকা, চীন। চতুর্থ দেশ হিসেবে চলতি বছরেই ইসরাইলের নামার কথা ছিল। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে তাদের অভিযান ব্যর্থ হয়ে যায়। ভারতের এই চন্দ্রাভিযান অনেক দিক থেকেই ছিল অভিনব। তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ গোলার্ধে অবতরণের পরিকল্পনা।

এখন পর্যন্ত যতগুলো দেশ চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করেছে, তারা সকলেই নেমেছে চাঁদের উত্তর গোলার্ধের বিভিন্ন জায়গায়। এই প্রথম কোনো দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে নামার পরিকল্পনা করেছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রথম চেষ্টায় মঙ্গলযানকে লালগ্রহের কক্ষপথে পাঠিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ইসরো। এরপরে চাঁদের দক্ষিণ অংশে নামার স্বপ্ন দেখেছিল এবং দেশবাসীকে দেখিয়েছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

এমআই