অতিভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশংকা, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

অতিভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশংকা, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

অন্যদিকে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড়ে ভূমিধসের আশংকা রয়েছে। এ আশংকায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। তাই পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে ভারী এবং ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বর্ষণকে অতিভারী বর্ষণ বলা হয়।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (>৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হয়।

অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ৪২২ মিলিমিটার বর্ষণে টেকনাফে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

এক পূর্বভাসে আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী শনিবার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এমআই