পাবনায় গণধর্ষণ: মামলা না নিয়ে বিয়ে দেয়ায় ওসি প্রত্যাহার, এসআই বরখাস্ত

পাবনায় গণধর্ষণ: মামলা না নিয়ে বিয়ে দেয়ায় ওসি প্রত্যাহার, এসআই বরখাস্ত

পাবনায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মামলা না নিয়ে থানার ভেতরে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেয়ার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক প্রত্যাহার ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামূল হককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অপরদিকে ঘটনার সাথে জড়িত জাকির হোসেন ড্রাইভার (৩৫) ও সঞ্জু মোল্লা (২২) নামের আরো দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন ড্রাইভার সদর উপজেলার ইসলামগাঁতি গ্রামের আব্দুস ছামাদ সরদারের ছেলে ও সঞ্জু মোল্লা টেবুনিয়া ফলিয়া গ্রামের কালাম মোল্লার ছেলে।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের টেবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে সদর থানার ওসি ওবাইদুল কে প্রত্যাহার এবং এসআই একরামূলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ নিয়ে গণধর্ষণের মামলায় মোট ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগষ্ট দিবাগত রাত থেকে আসামিরা এক গৃহবধূকে ৪ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এক সময়ে ধর্ষিতা গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে সদর থানায় আশ্রয় নেয় এবং এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তার অভিযোগ আমলে না নিয়ে এবং মামলা রুজু না করে পুলিশ ধর্ষক রাসেলের সাথে তাকে বিয়ে দেন। এ ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জেলা পুলিশের নির্দেশে ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি রুজু হয়। পরে পুলিশের ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল বুধবার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে।

এদিকে ঘটনায় পাবনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং শহর উত্তাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এমআই